বইমেলায় বাংলায় অনূদিত বইয়ের চাহিদা বেড়েছে। অনেক প্রকাশনালয় অনুবাদ নিয়ে ভালো কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এক প্রকাশক। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মেলার পঞ্চম দিনে সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করছেন ঝাঁকে ঝাঁকে।
মেলায় এবার অনূদিত বই পাওয়া যাচ্ছে অনেক। পাঠকরা তাদের পছন্দের অনূদিত বই সংগ্রহ করছেন। বইপ্রেমী শফিকুল আলম জানান, ফিকশনধর্মী বই তার বেশি পছন্দের। এবার মেলা থেকে ইতিমধ্যে ৩টা অনুবাদিত বই সংগ্রহ করেছেন তিনি। এখনও বই খুঁজছেন। মনের মতো বই পেলে আরও বই কিনবেন।
‘নালন্দা’ প্রকাশনার প্রকাশক রেদয়ানুর রহমান জুয়েল বলেন, “অনুবাদিত বই এখন অনেক। কয়টা প্রকাশনালয়ের এডিটোরিয়াল বোর্ড আছে? অনেক সময় অনূদিত বইগুলো সঠিকভাবে অনুবাদ করা হয় না। অনুবাদের ক্ষেত্রে কেবল আক্ষরিক বা ভাবার্থমূলক অনুবাদ করলে হবে না। অনুবাদ হতে হবে লেখার সহজ ও সঠিক প্রকাশ। তবে আশার কথা এই যে, বাংলাদেশে এখন অনেক প্রকাশনালয় অনুবাদ নিয়ে ভালো কাজ করছে।”
প্রকাশকরা জানান, গতকালের মত জনসমাগম বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে আজও। ছোট ছোট স্টলগুলোতে গতকাল ৪ থেকে ৫ হাজার করে বিক্রয় হয়েছে। গত তিনদিনের বেচাকেনা শুক্রবার একদিনেই হয়েছে। আজ শনিবারেও পাঠকের ভিড় বই বিতানগুলোতে।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত বছর পণ্ড হয় লেখক পাঠক প্রকাশকের তীর্থভূমি অমর একুশে বইমেলা-২০২১। এবারও সে আশঙ্কা ছিল। তবে করোনা সংক্রমণ কমায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে এবারের বইমেলা। সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন প্রকাশকরা। সন্তোষজনক পাঠকের উপস্থিতিতে আশার আলো দেখছে প্রকাশক ও লেখকরা। তাদের আশা পাঠকদের উপস্থিতি আরও বাড়তে পারে ২১ ফেব্রুয়ারি। সেজন্য বইমেলার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি করছেন তারা।
জানা যায়, এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি স্টল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি বইয়ের স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। গত বছর বইয়ের স্টল সংখ্যা ছিল ৮৩৪টি। কিন্তু এবার বেড়েছে প্যাভিলিয়নের সংখ্যা। গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৩টি, এবার ৩৫। বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করছে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ওইদিন বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বইমেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩৮তম এ বইমেলা চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।