• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

পান্না কায়সারের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৩, ০৫:৫২ পিএম
পান্না কায়সারের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলি

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের সহধর্মিণী, বিশিষ্ট লেখক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা পান্না কায়সারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।  

রোববার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পান্না কায়সারের মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়। মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হলে সেখানে প্রথমে শ্রদ্ধা জানায় তার তৈরি শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’। শ্রদ্ধা জানায় ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সংস্কৃতি মঞ্চ, রক্তধারা ৭১, প্রজন্ম ৭১, শিশু একাডেমি, ঢাকা থিয়েটার, ছায়ানটসহ শতাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ আরও শতাধিক সংগঠন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্ব জাতীয় প্রেসক্লাব শ্রদ্ধা জানিয়েছে।  

এ সময় শ্যামল দত্ত বলেন, “স্বামীকে হারিয়েও তিনি নিরন্তর চেষ্টা করে গেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে। জীবনভর লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। খেলাঘর সংগঠনের অভিভাবক ছিলেন তিনি।”

পরিবারের সদস্যদের পক্ষে লেখক শাহরিয়ার কবির বলেন, “আমাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতৃত্বে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে সেটা সহজে পূর্ণ হবে না। শহীদ সন্তানদের নিয়ে প্রজন্ম-৭১ গড়ে তুলেছিলেন পান্না কায়সার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে নিরন্তর লড়াই করে গেছেন।”

পান্না কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার কান্না জড়ানো কন্ঠে বলেন, “আমার মা কষ্ট থেকে শক্তি অর্জন করেছেন, কোনোদিন প্রকাশ করেননি। তিনি ২৩ বছর বয়স থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়াই করে গেছেন। তিনি কারও কাছে মাথানত করেননি। এরই মধ্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ভুল ইতিহাসের বাইরে সঠিক ইতিহাস প্রচারে নিরন্তর লড়াই করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর একজন কর্মী হিসেবে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন।”

শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “পান্না কায়সারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তার আত্মার শান্তি কামনা করি। ১৯৭১ সালে তার স্বামী বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হন। এরপর তিনি সারাজীবন কষ্ট করে সন্তানদের মানুষ করেছেন। পান্না কায়সার একাধারে লেখিকা ও সংগঠক ছিলেন। তিনি খেলাঘরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আজীবন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি ধারণা করিনি তিনি এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। তার অসুস্থতার কথাও শুনিনি। তার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এ মৃত্যু অপূরণীয়। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।”

শহীদ মিনারে পান্না কায়সারের মরদেহ দুপুর ১টা পর্যন্ত রাখা হয়। সেখান থেকে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজার নামাজ শেষে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

Link copied!