• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পুরুষের চেয়ে নারীর মস্তিষ্ক ছোট কেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৩, ১২:৫৩ পিএম
পুরুষের চেয়ে নারীর মস্তিষ্ক ছোট কেন

প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও নারীদের প্রায় ১৩০০ সিসি। কেমব্রিজ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমআরআইয়ের মতো পরীক্ষা ব্যবহার করে নারী ও পুরুষের মস্তিষ্কের আকার তুলনা করেছেন। তারা দেখেছেন, পুরুষদের মস্তিষ্ক নারীদের তুলনায় ৮-১৩ শতাংশ বেশি।

নারীদের মস্তিষ্ক ছোট হওয়ার কারণ

গবেষণায় দেখা গেছে, নারী ও পুরুষের মস্তিষ্কের আকারের পার্থক্য শারীরিক গঠনের কারণে হয়। সাধারণভাবে পুরুষের উচ্চতা নারীর তুলনায় বেশি হয়, যার কারণে তাদের মস্তিষ্কের আকারও প্রভাবিত হয়। তবে নারীদের মস্তিষ্ক ছোট হলেও গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের ইনসুলার কর্টেক্স পুরুষদের তুলনায় বড়। মস্তিষ্কের এই অংশ আবেগ, দৃষ্টিভঙ্গি, যুক্তি ও আত্ম-সচেতনতার সঙ্গে জড়িত। এটিও নারীদের বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ার পেছনে কারণ হতে পারে।

ভাষা শিক্ষা, গোনার ক্ষমতা, লেখাপড়া শেখার ক্ষেত্রে বাম গোলার্ধের বেশি ভূমিকা থাকে। অন্যদিকে চারুকলা, সংগীত, কল্পনা প্রবণতা এইগুলো ডান গোলার্ধের কাজ। দেখা গিয়েছে পুরুষদের মস্তিষ্কে স্নায়ুকোষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে সাত গুণ বেশি। এ জন্য পুরুষরা যেকোনো সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে পারেন। 

তবে নারীদের আবার স্নায়ুসংযোগকারী নার্ভ পুরুষদের তুলনায় দশ গুণ বেশি। তাই তাদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং বাক্‌শক্তি অনেক বেশি থাকে। এই জন্য যুক্তিতর্কে নারীদের হারানো শক্ত।

এ ছাড়া সিংগুলেট গাইরাস অংশ বড় হওয়ার কারণে নারীরা খুব দ্রুত এবং সঠিকভাবে স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন, যা সাধারণত পুরুষরা পারেন না। তবে পুরুষদের মস্তিষ্ক অনেক কাজে মেয়েদের চেয়ে বেশি দক্ষ। যেমন গাণিতিক সংখ্যাতত্ত্ব, স্থাপত্যবিদ্যা, ক্রীড়াবিদ্যা এবং মাপজোখের কাজের কথা বলা যায়।

তবে গবেষণায় জানা গেছে, পুরুষেরা কাজকর্ম করার ক্ষেত্রে ডান অথবা বাঁ যেকোনো একটি মস্তিষ্কের ওপরই নির্ভরশীল থাকেন। অন্যদিকে নারীরা ব্রেনের দুটি অংশেরই সমানভাবে ব্যবহার করে। এই কারণে পুরুষদের তুলনায় মেয়েরা কাজকর্ম গুছিয়ে করতে পারেন।

তবে কিছু স্ত্রী হরমোন যেমন ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে নারীরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হন পুরুষদের তুলনায়। এই জন্য নরীদের মধ্যে অবসাদে ভোগার প্রবণতা বেশি থাকে। অন্যদিকে পুরুষদের মধ্যে অটিজম, সিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগ বেশি দেখা যায়। আবার ক্রনিক বা দীর্ঘদিনের ব্যথা যা অনেকটা মস্তিষ্কে ওপর প্রভাব ফেলে, যেটা মেয়েদের বেশি হয়।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে শারীরিকভাবে পুরুষ ও নারীদের মস্তিষ্কের গঠন এবং কাজের কিছু পার্থক্য রয়েছে।

সূত্র: প্রেসওয়্যার ১৮

Link copied!