ব্যয়াম করতে হলে শরীরের হাত-পা, মাথা সবকিছু নিয়েই করতে হয়। এবং প্রত্যেকটি অঙ্গের আলাদা আলাদা ব্যয়াম রয়েছে। তেমনি পায়েরও রয়েছে কিছু আলাদা ব্যয়াম। তবে পায়ের ব্যয়াম করার আগে পায়ের নিরাপত্তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। চলুন আজ জেনে নেবো সেগুলো কী-
স্ট্রেচ করতে হবে
পায়ের মাসলগুলো আকারে বড় হয়, ব্যায়াম করতে আরম্ভ করলেই ব্যথা হবে এটা নিশ্চিত। মাসলে ক্র্যাম্পও ধরতে পারে। তাই ব্যায়াম শুরুর আগে ও পরে খুব ভালো করে স্ট্রেচ করুন। স্ট্রেচিং মাসলের স্থিতিস্থাপকতা সুনিশ্চিত করে। যা-ই করুন না কেন, হাঁটু বাঁচিয়ে করতে হবে। হাঁটুতে আঘাত লাগলে অনেকদিন পর্যন্ত ভুগতে হবে। নি-গার্ড পরে ব্যায়াম করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। নি-গার্ড না থাকলে মোটা কাপড়ের টুকরো বেঁধে নিলেও চলবে। চেষ্টা করুন ব্যায়ামের উপযোগী জুতা পরতে। তাতে পা সুরক্ষিত থাকে। জুতার সঙ্গে মোজা পরাটাও খুব জরুরি। তাতে বাড়ে পায়ের নিরাপত্তা।
পায়ের মাসলের দিকে খেয়াল রাখতে হবে
আমাদের পায়ের প্রধান মাসল গ্রুপ তিনটি। কোয়াড্রিসেপস, হ্যামস্ট্রিং, আর কাফ। থাইয়ের সামনের দিকের মাসল হচ্ছে কোয়াড্রিসেপ। বড় এবং লম্বা পেশি এটি শক্তিশালী হলেই ব্যালান্স ঠিক থাকবে, চলায় আসবে গতি ও ছন্দ। থাইয়ের পিছন দিকের লম্বা মাসল হলো হ্যামস্ট্রিং। এই মাসল আঘাতপ্রবণ এবং সে আঘাত অনেকদিন ভোগায়। তাই হ্যামস্ট্রিং শক্ত রাখার জন্য বিশেষ কিছু ব্যায়াম করা প্রয়োজন। অনেকেই পায়ের যত্ন করতে গিয়ে অবহেলা করেন কাফ মাসলের, সেটি ঠিক নয়। আপনার শরীরের ওজনের অনেকটাই বহন করে কাফ মাসল, তাই ব্যায়াম করার সময় তার দিকেও যথেষ্ট নজর দিতেই হবে।
নানা ধরনের স্কোয়াট আর লাঞ্জেস পায়ের সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। তবে আপনি যদি অনলাইন ক্লাসও করেন, মন দিয়ে দেখুন ইনস্ট্রাক্টর ঠিক কী করছেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পারফেক্টভাবে করার চেষ্টা করুন। কাফ মাসল আর গ্লুটস বা নিতম্বের পেশির নানা ব্যায়াম হয়, বাদ দেবেন না সেগুলোও। অবশ্যই পায়ের ব্যায়াম করার পর স্ট্রেচিং করতে হবে। একদিন এই ধরনের ব্যায়াম করার পর অন্তত দুদিন একেবারে বিশ্রাম দিন পায়ের পেশিকে।