ভোজনরসিক বাঙালি কখনোই খাবারের সঙ্গে কমপ্রোমাইজ করে না। আজ এই ভালো লাগে তো কাল ওই। আর কোনোটাই যদি ভালো না লাগে তবে ভিন্নরকমভাবে রান্নার কৌশল তো রয়েছেই। একটাই পদ অথচ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নানারকম করে তৈরি করে সেটাকে তৃপ্তিদায়ক করে মুখের সামনে তুলে ধরা চাট্টিখানি কথা নয় কিন্তু! একেই বলে বুঝি বাঙালিয়ানা। যেমন, খাসির মাংসের কত ধরনের পদ করে খাওয়া হয়। আজ তারই ধারাবাহিকতায় জানিয়ে দেবো খাসির মাংসের পাতলা ঝোল রেসিপি। সঙ্গে দিয়ে দিতে পারেন কয়েকটি আলু। খেতেও বেশ লাগবে। চলুন জেনে নিই নিয়ম-
যা যা লাগবে
- খাসির মাংস ১ কেজি
- জিরার গুঁড়া
- ধনে গুঁড়া
- মরিচের গুঁড়া
- হলুদের গুঁড়া
- লবণ
- গোলমরিচের গুঁড়া
- গরম মশলা
- সরষের তেল
- শুকনা মরিচ
- তেজ পাতা
- আস্ত জিরা
- চিনি
- আলু ৪ টি
- পেঁয়াজ ৪ টি
- টমেটো ১ টি
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে একটি পাত্রে খাসির মাংস নিয়ে তাতে জিরার গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, গরম মসলা, ও সর্ষের তেল দিয়ে ভালো করে মেখে আলাদা রেখে দিন। তারপর একটি কড়াইয়ে অল্প তেল গরম করে নিন। তেল গরম হয়ে এলে তাতে শুকনা মরিচ, তেজ পাতা, আস্ত জিরা দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। এবার সামান্য চিনি দিয়ে দিন।
এরপর আলু দিয়ে তারমধ্যে সামান্য হলুদ দিয়ে আলুগুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে এলে সেগুলো একটি পাত্রে তুলে রাখুন। এরপর কড়াইয়ে পেঁয়াজ ও টমেটো আর স্বাদমতো লবণ দিয়ে একটু নেড়ে কড়াই ঢেকে দিন।
পেঁয়াজ হলুদ হয়ে এলে তাতে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে দিন ও ভালো করে নেড়ে কড়াই ঢাকা দিয়ে দিন। এরপর ম্যারিনেট করে রাখা মাংস দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। তারপর এটি ডাকা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটতে দিন। মাংস প্রায় কষা কষা হয়ে এলে এবার এতে ভেজে রাখা আলুগুলো দিয়ে আলুসহ মাংসগুলো প্রেসার কুকার এ নিয়ে নিন।
এবার সামান্য খাওয়ায় পানি নিয়ে কড়াইয়ে লেগে থাকা মসলাগুলো তাতে গুলিয়ে নিন। তারপর পানিতে সামান্য লবণ ও গরম মসলা দিয়ে নেড়ে কুকারে ঢেলে দিন। কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে ২টি সিটি মেরে নিন। কিছুক্ষণ পরে চেক করলেই দেখতে পাবেন খাসির মাংসের পাতলা ঝোল হয়ে গেছে।