• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

রসুনের খোসা ফেলে দিচ্ছেন? জেনে নিন এর নানা উপকারিতা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ১১:২৯ এএম
রসুনের খোসা ফেলে দিচ্ছেন? জেনে নিন এর নানা উপকারিতা

রসুন ছাড়া রান্নার কথা ভাবা প্রায় অসম্ভব। তাই প্রতিটি রান্নাঘরেই রসুন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে শুধু রান্নাতেই নয়, ঠান্ডা লাগলে অনেকে রসুন তেল মেখে রোগের উপশম করেন। কিন্তু জানেন কী শুধু রসুনই নয়, রসুন খোসা দিয়ে আপনি কত রকমের কাজ সেরে নিতে পারেন? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক-

স্যুপ রান্না করা যায়
রসুন খোসায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণাগুণ। তাই রসুন খোসা দিয়েও স্যুপ রান্না করা যাবে। স্যুপ এমনিতেই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তারমধ্যে রসুন খোসা দেওয়া হলে পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যাবে। রসুন খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে কাচের শিশিতে ভরে রাখতে পারেন। হঠাৎ রসুন শেষ হয়ে গেলে তার বিকল্প হিসেবে স্যুপ, স্টু, নুডলস এ সব কিছুতেই ব্যবহার করা যাবে।

রসুন তেল
পরিষ্কার কাচের শিশিতে রসুন খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে তারমধ্যে অলিভ অয়েল মিশিয়ে রেখে দিতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তেলের ওই শিশি রোদে বসিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে রসুন তেল। সালাদের ড্রেসিং হিসেবে অনেকে এ তেল ব্যবহার করে থাকেন।

ভিনেগার
ভিনেগারের নিজস্ব গন্ধ খুব একটা ভালো নয়। অথচ রান্নার কাজে তা ব্যবহার করতেই হয়। তাই ভিনেগারের বোতলে বেশ কিছু রসুনের খোসা যদি রেখে দেওয়া যায় সবচেয়ে ভালো। যেকোনো রান্নায় বা সালাদে ব্যবহার করা যায় এই ভিনেগার।

চুলকানি দূর করে
রসুন খোসায় অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুন থাকায় এটি চুলকানি দূর করতেও বেশ কার্যকরী। এছাড়া ত্বক যত্নেও রসুন খোসা দারুন উপকারী। রসুন খোসা পেস্ট করে অথবা ফোটানো পানি ত্বকে ব্যবহার করলে ব্রণ কমে যাবে। সেই সঙ্গে ত্বক লোমকূপ সংকোচন কমিয়ে দেবে। ত্বকে সংক্রমণ রোধেও ব্যবহার করতে পারেন রসুন খোসা ফোটানো পানি।

চুলের যত্ন নেয়
রসুন খোসা চুলের জন্যও বেশ উপকারী। রসুন খোসা ফোটানো পানি ব্যবহার করলে চুলের নানা সমস্যা দূর হবে। এছাড়া হাঁপানির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে রোজ সকালে রসুন খোসা পেস্ট করে মধু দিয়ে খেতে পারেন।

চা তৈরি
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ঠান্ডা লাগা বা জ্বর-সর্দিতে ভোগেন অনেকে। এক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে রসুন চা। কিন্তু রসুন ঝাঁঝালো গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন বলে যারা রসুন চা খান না, তারা চায়ে রসুন বদলে রসুন খোসা ব্যবহার করা যেতে পারেন। রসুন মতো অতটা তীব্র গন্ধ হবে না।

জৈব সার তৈরি
রসুন খোসা ফেলে না দিয়ে বিভিন্ন রকমের সবজির খোসা, ডিমের খোসার সঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে পারেন। গাছের পুষ্টি বাড়িয়ে তুলতে এই জৈব সারের বিকল্প নেই।

Link copied!