দাম্পত্যের শুরুতে সবকিছুই প্রাণবন্ত থাকে। নতুন করে নতুন মানুষকে চেনার আনন্দটাই অন্যরকম হয়। একে অপরের সঙ্গ ভালো লাগে। মধুর খুনসুটিতে বছর পেরিয়ে যায়। এরপর সংসারে নতুন সদস্য আসে। তাকে নিয়েই ব্যস্ততা শুরু হয়। বছর খানেক পর দেখা যায়, দাম্পত্যের ভালোবাসায় ভাটা পড়েছে। বহু বছর পরও দাম্পত্যকে প্রাণবন্ত রাখা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। সংসারের বিভিন্ন দায়িত্বের চাপে নিজেদের সম্পর্কের মধ্যকার আলোটি টিকিয়ে রাখা কিংবা প্রথম ক্ষণের মতোই ধরে রাখা খুব সহজ নয়। তবে ইচ্ছে থাকলেই হয়তো ধরে রাখা সম্ভব। আর সেই চেষ্টা সহজ করবে `৭৭৭ নীতি`।
সংসারকে সুখী করে তুলতে `লাকি নম্বর সেভেন` কয়েকভাবেই কাজ করে। এই `৭৭৭ নীতি`তে রয়েছে ৭ সংখ্যাটির সঙ্গে সম্পর্কিত তিনটি বিষয়। যা খুব সহজেই সম্পর্কের সমীকরণে ব্যালেন্স করে। চলুন সহজ এই নীতির বিস্তারিত জেনে আসি।
সাত দিন পরপর একটি ডেট
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় জীবনটা যেন একটা হিসেবের খাতা হয়ে ওঠে। তবে সঙ্গীকে ভুলে গেলে তো চলবে না। সঙ্গীর থেকে ঠিক সময়ে আকাঙ্ক্ষিত মনোযোগটুকু তো লাগবেই। নয়তো মন খারাপ হয়ে যাবে। তাই সঙ্গীর মন ভালো রাখতে নিজেদের জন্য সময় বের করতেই হবে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজের মতো সঙ্গীকে সময় দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশেষ মুহূর্ত কাটাতে প্রতি ৭ দিন পরপর একবার করে ডেটে যান। একান্তে সময় কাটান। খোলা আকাশের নিচে কিংবা প্রকৃতির কাছে, দামি রেস্তোরাঁয় সুস্বাদু খাবার খেয়ে বিশেষ মুহূর্তটি কাটিয়ে দিতে পারেন। জীবনের সব ঝক্কি-ঝামেলা ভুলে দুজনে নিজেদের মতো থাকুন। নিজেদের ভালো লাগার কাজগুলো দিয়ে বিশেষ মুহূর্তকে উপভোগ করুন।
সাত সপ্তাহ পরপর বিশেষ একটি দিন
প্রতি সাত সপ্তাহ পরপর সঙ্গীকে নিয়ে বাড়ির গণ্ডির বাইরে সুন্দর একটি দিন কাটিয়ে নিন। পরিচিত সেই ঘরের দৈনন্দিন একঘেয়েমি দূর করতে এটি সেরা মাধ্যম হতে পারে। এতে নিজেদের মধ্যে ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। মানসিক প্রশান্তি মিলবে। অন্যান্য সব কাজের স্পৃহা পাবেন। সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণও ঠিক থাকবে।
প্রতি সাত মাসে দূরে ভ্রমণ
চার দেয়ালের জীবন থেকে বেরিয়ে প্রতি সাত মাস পরপর একবার দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। একঘেয়ে রুটিনে জীবন কাটাতে গিয়ে নিজের উপরই বিরক্ত হয়ে যেতে পারেন। তখনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হতে পারে। এই একঘেয়ে ভাব কাটানো অন্যতম উপায় হচ্ছে ভ্রমণ। পছন্দের স্থানে ভ্রমণ করে আসুন। এরপর ফিরে আবার পূর্ণ উদ্যমে নিয়মিত জীবন শুরু করুন। ব্যস্ততার ফাঁকেই সময় বের করুন। এরজন্য় আর্থিক ও মানসিক প্রস্তুতিও রাখুন। বছরে একবার অর্থাত্ প্রতি সাত মাস পরপর একবার ভ্রমণ করলে দেখবেন দাম্পত্যের সম্পর্কে সুখ থাকবে। মনে রাখবেন, নিয়মের বেড়াজালে নিজেকে বেঁধে নিয়ে সম্পর্কের স্বাভাবিক গতি যাতে কখনো বাধাগ্রস্ত না হয়।
 
                
              
 
																 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    






































