• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ঢাকার যোগাযোগে আধুনিকতার ছোঁয়া : স্থপতি ইকবাল হাবিব


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৩, ০৭:৪৬ পিএম
ঢাকার যোগাযোগে আধুনিকতার ছোঁয়া : স্থপতি ইকবাল হাবিব

ঢাকার যানজট নিরসনে বর্তমান সরকারের হাতে নেওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্য অন্যতম ছিল মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। রাজধানীর মানুষকে সহজে যাতায়াত সুবিধা দিতে সরকারের একটি মেগা প্রকল্প হলো মেট্রোরেল। আধুনিক নগরে যানজট নিরসনের পাশাপাশি কম সময়ে বেশি যাত্রী পরিবহনের কারণে উন্নত বিশ্বেও মেট্রোরেল সমাদৃত। আবার ঢাকার এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে যোগাযোগের জন্য আরেক মেগা প্রকল্প বিআরটিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এই দুই প্রকল্পে নগরবাসী কতটুক সুবিধা পাবে, তা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে কথা বলছেন নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব।

সংবাদ প্রকাশ: মেট্রোরেল ব্যবস্থাপনায় শহরে স্বস্তি আসবে কতটুকু? 

ইকবাল হাবিব: প্রতিনিয়ত গবেষণায় দেখা যায়, আমাদের শহরে যানজটে প্রতিদিন কয়েক হাজার কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। মানুষ উন্নত জীবনের শহরমুখী হচ্ছে। ফলে শহরে যে পরিমাণ মানুষের চলাচলের জন্য গাড়ির চাপ বাড়ছে, তাতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। গত কয়েক বছর তো যানজটে প্রায় অচলই ঢাকা। মেট্রোরেল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যানজটের যে দুটি কারণের ওপর প্রভাব ফেলবে, তা হলো গণপরিবহনের যে ঘাটতি ছিল, তা প্রত্যক্ষভাবে দূর করবে এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীরা অধিক হারে মেট্রোরেল ব্যবহারের ফলে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমে যাবে, যা যানজট কমাতে পরোক্ষভাবে সহায়তা করবে। মেট্রোরেল যানজট কমানোর মাধ্যমে মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। মেট্রোরেলে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার সুবিধার কারণে অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে দেবে, যা রাস্তার ওপর থেকে চাপ কমাতে সাহায্য করে।

সংবাদ প্রকাশ: মেট্রোরেলে যাতায়াতের খরচ কমাতে সাহায্য করবে কি না?

ইকবাল হাবিব: যানজটে যে পরিমাণ জ্বালানির অপচয় হতো, তা এ ক্ষেত্রে হবে না। যাতায়াতের খরচ ও সময় কমে যাওয়ার কারণে পণ্য ও সেবার উৎপাদন ব্যয়ও কমে যাবে, যা একটি প্রতিযোগিতামূলক নগরায়নের জন্য প্রয়োজনীয়। মেট্রোরেলের একটি অন্যতম সুবিধা হলো, পরিবেশদূষণ কমানো। পরিবেশদূষণ কমানো সম্ভব হলে মানুষের স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে, তেমনি জীবনের উৎকর্ষ আসবে।

এদিকে বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত বিআরটিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ চলছে দ্রুতগতিতে। যাতে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কয়েক মিনিটেই চলে যাওয়া যাবে। তিন ধাপে এর কাজ সম্পন্ন করবে কর্তৃপক্ষ। প্রথম ধাপে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত অংশের দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার। তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেলক্রসিং থেকে চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্মাণ করার কাজ চলমান।

সংবাদ প্রকাশ: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পর শহরের ওপর চাপ কমবে কীভাবে?

ইকবাল হাবিব: আমাদের শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়ার জন্য শহরের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। শহরের পাশ দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য কোনো বাইপাস সড়ক নেই। ফলে শহরের ভেতর প্রতিনিয়ত চাপ বাড়ছে। এই চাপ কমাতে বিআরটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বাসিন্দারা ঢাকার ভেতরের যানজট এড়িয়ে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে পারবেন। ফলে রাজধানীতে চলাচলে গতি বাড়বে আরও কয়েক গুণ।

কথাপ্রকাশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!