• ঢাকা
  • রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩০, ১৭ শা'বান ১৪৪৬

আমি ইনভিজিবল থাকতে চাই: আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ


পার্থ সনজয়
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ১০:০৮ এএম
আমি ইনভিজিবল থাকতে চাই: আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ

কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৪তম আসর সাক্ষী হলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের। প্রথমবারের মতো বিশ্ব চলচ্চিত্রের এই আসরে অফিশিয়ালি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্র। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এই দেশের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় অর্জনটা এনে দিল নির্মাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। জুলাইয়ের ৭ তারিখ উৎসবের ‘সালে দেবুসি’তে প্রিমিয়ার হলো ‘আ সার্টেন রিগার্ড’ বিভাগে নির্বাচিত ১ ঘণ্টা ৪৭ মিনিটের ছবিটি। ১ হাজার ৬৮ আসনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন থিয়েটারটিতে ছবিটি দেখার পর কানের ঐতিহ্যানুযায়ী দাঁড়িয়ে দর্শক অভিবাদন জানিয়েছে ‘টিম রেহানা মরিয়ম নূর’কে। উৎসবের একাদশ দিনে ‘আ সার্টেন রিগার্ড’ বিভাগের পুরস্কার বিতরণী সন্ধ্যায় ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ কোনো সম্মাননা না জিতলেও জিতেছে দর্শকের ভালোবাসা আর গণমাধ্যমের প্রশংসা। প্রিমিয়ারের এক দিন পর ৯ জুলাই কানে উৎসব কাভার করতে যাওয়া বাংলাদেশের দুই গণমাধ্যম ও একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আলাপচারিতায় অংশ নেন ছবির পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। সঙ্গে ছিল ‘টিম রেহানা মরিয়ম নূর’। সাদের সেই সাক্ষাৎকারের পুরোটা সংবাদ প্রকাশ-এর পাঠকের জন্য তৈরি করেছেন এবারের উৎসব কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিক পার্থ সনজয়


কানের উৎসবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ টিমের সঙ্গে পার্থ সনজয় (সর্ববাঁয়ে)

প্রশ্ন: ‘রেহানা মরিয়ম নূরে’র প্রিমিয়ারের পর কেমন লাগছে?

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ: ব্যক্তিগতভাবে খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। সত্যি, বিশেষ করে স্ক্রিনিং পর্যন্ত। বলতে গেলে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন ছিলাম। খুব স্ট্রেসফুল ছিলাম। দর্শক কীভাবে রেসপন্স করবে? যা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। আমি একটা ‘ডিসেন্ট স্ক্রিনিং’ হলেই খুশি ছিলাম। যা হয়েছে, তা অভাবনীয়। 

 

প্রশ্ন: প্রিমিয়ারের শুরুতে দর্শকের উদ্দেশে আপনি বলছিলেন, আপনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না!

সাদ: সত্যি। ওই সময়টা খুব অদ্ভুত ছিল। এটা তাৎক্ষণিকভাবে আমার মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে। কী বলা উচিত? আমি অনেক কিছুই ভাবছি। কিন্তু কিছুই বলতে পারি নাই। আমি নার্ভাস হয়ে প্রথম কথাটাই বলেছি। যা মনে হয়েছে তাই। যদিও অনেক ভেবে এসেছিলাম, কিন্তু কিছুই বলতে পারি নাই।

 

প্রশ্ন: কানের মতো বড় আসরে ছবিটা দেখানো হবে—এমন ভাবনা কি ছবি তৈরির সময়টা থেকেই ছিল?

সাদ: ছবিটা বানানোর সময় আসলে চিন্তা করি নাই, এটা কোন ফেস্টিভ্যালে যাবে। ভেস্টিভ্যালের মতো করে কেমন করে ছবি বানাতে হয়, তা-ও আমার জানা নেই। আমি আমার ছবিটা বলতে চেয়েছি। ছবিটা যখন শেষ হলো তখন আমরা চিন্তাভাবনা শুরু করলাম এর ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে, স্ক্রিনিং নিয়ে। অবশ্যই কানের মতো একটা প্রেস্টিজিয়াস জায়গায় যদি ছবিটা যায়, তাহলে অনেক খুশি হব। তাই প্রথমেই কানে সাবমিশন দিয়েই শুরু করি। আমরা ফরচুনেট, খুবই লাকি যে, আমাদের প্রথম সাবমিশনটাই সিলেকশন পেয়েছে।

 

প্রশ্ন: ছবিটাতে ‘ব্লু টোন’ নিয়ে সবাই কথা বলছে। বেদনার রংও তো নীল। রেহানার ভেতরের জগৎটাকে তুলে ধরতেই কি এই নীলের ব্যবহার?

সাদ: ইন্টারেস্টিং ইন্টারপ্রিটেনশন আপনার। এটা খুব কঠিন বর্ণনা করা। অবশ্যই আপনি একটা ইন্টারপ্রিটেশন বলেছেন। আমরা যখন প্রথমবার ‘কালার স্ক্রিন’ নিয়ে কথা বলি, আমার অবজেক্টিভ ছিল, কী ধরনের ‘কালার স্ক্রিন’ বা ‘কালার প্যালেট’ পেলে রেহানার ভেতরের রাগ, ক্ষোভ, সাবপ্রেশন কিংবা কনফ্লিক্টগুলো ইনফরমেশন না দিয়েও আমি ওই অনুভূতিটা দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারি। একটা সময় আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ‘কালার স্ক্রিন’টা হয়তো ইনডাইরেক্টলি অথবা সার্টেইনলি ওই পরিবেশটা তৈরি করতে পারবে দর্শকের কাছে, যেটা আমরা আসলেই করতে চাই।

 

প্রশ্ন: ছবিটি প্রিমিয়ারের পর দর্শকের এত অভিনন্দন কি প্রত্যাশিতই ছিল?

সাদ: বিশাল পাওয়া। ছবি বানানোর সময় তো আমরা এভাবে চিন্তা করিনি। আমাদের কাছে ছবিটা বানানোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন যা হচ্ছে, তাতে আমি খুব লাকি। যখন আমরা ছবিটা বানাই, তখন আপনি যে বড় ক্যানভাসের কথা বললেন, তা মাথায় রেখে ছবি বানানো যায় কি না, আমি জানি না। এখন অনেক কিছুই ঘটছে। আমি খুবই গ্রেইটফুল, খুবই অনারড। আমরা এখনো ঘোরের মধ্যে আছি। ছবিটা যখন বানিয়েছি, আমাদের সেরাটাই দিতে চেয়েছি। আমাদের নিজেদের মতো করে নিজেদের ছবিটা বানাতে চেয়েছি।

 

প্রশ্ন: আপনি যেভাবে গল্পটা বলতে চেয়েছেন, তা বলতে পেরেছেন? দর্শক, বাজার বা অন্য কোনো প্রভাব কি কাজ করেছে?

সাদ: ফিল্ম তো লং প্রসেস। আমি আসলে কোন ছবিটা বানাতে চাই, এটা ফিগার আউট করতেও একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমি আসলে কী চাই, আমি আসলে কোন প্রশ্নগুলো তুলতে চাই, কোন কমপ্লেক্স ক্যারেক্টটারটা নিয়ে আমি কাজ করতে চাই—এটা ফিগার আউট করতেও একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমি গেছি। আমার পক্ষে এটা চিন্তা করা সম্ভব না, বাজার কী হবে? দর্শক কোন স্টোরি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? এভাবে অন্তত আমার পক্ষে ছবি বানানো সম্ভব না। আমার কাছে স্ট্রাগলটা ছিল, আমি কোন ছবিটা বানাতে চাই, এটা ফিগার আউট করা। এটা বুঝতে পারার জন্য আমাকে দুই-আড়াই বছর চিন্তা করতে হয়েছে। করতে হয়েছে ড্রাফটের পর ড্রাফট। বাঁধন যখন এই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হয়, আমি বাঁধনের সঙ্গেও আলোচনা করতে শুরু করি। এ রকম ডেভেলপ করতে করতে যখন আমার মনে হয়েছে, সম্ভবত এই ছবিটাই আমি বানাতে চাই! এরপর আমরা প্রোডাকশনে যাই। এখানে কোনো এক্সটার্নাল ইনফ্লুয়েন্স বা অন্য কোনো চিন্তাভাবনা করে লেখার চিন্তা আমি অন্তত করিনি।

 

প্রশ্ন: লক্ষ্যতে পৌঁছাতে পেরেছেন?

সাদ: আই হোপ সো। আপনারা বিচারক। আপনারা ডিসাইড করবেন। আমরা আমাদের সেরা চেষ্টা করেছি।

 

প্রশ্ন: ছবিতে রেহানার যে মনোজাগতিক ও নৈতিক যে লড়াই, তা কি আপনার লড়াইও?

সাদ: ইন্টারেস্টিং কোয়েশ্চেন। এমনিতে আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বাইরে লিখতে পারি না। মানে আমি যা লিখি, তা কোনো না কোনোভাবে আমার জীবনের অভিজ্ঞতা—জানার জায়গা থেকে লেখা। কিন্তু আমার চিন্তাভাবনা বা আমার থট প্রসেস রেহানার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করতে চেয়েছি, ব্যাপারটা আসলে তা নয়। কিন্তু অবশ্যই, এটা একটা পার্সোনাল প্রসেস।

 

প্রশ্ন: আপনার চারপাশের নারীদের অভিজ্ঞতা কি আপনার এই ছবির চিত্রনাট্যের মতোই?

সাদ: আমার কাছে মনে হয়েছে, এটা একটা সর্বজনীন বিষয়। প্রথমত, আমি একটা কথা বলে রাখতে চাই, আমি যখন কোনো চরিত্র নিয়ে লিখি, আমি তাকে মানুষ হিসেবে ইনভেস্টিগেট করার চেষ্টা করি। এক্সামিন করার চেষ্টা করি। কারণ, একটা নারী চরিত্র এমন নয় যে, আমি ওই চরিত্রটা লিখতে গিয়ে আলাদা করে কোনো রিসার্চ করেছি বা আলাদাভাবে ভেবে লেখার চেষ্টা করেছি। আমি চরিত্র যেভাবে লিখি, চরিত্রের কমপ্লেক্সটা ক্যাপচার করার চেষ্টা করি। ওটা এক্সপ্লোর করার চেষ্টা করি। রেহানার ক্ষেত্রে আমি তাই করেছি। ইটস নট অনলি অ্যাবাউট উইমেন। অবশ্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ দিক, বাট ফাইনালি ইটস অ্যাবাউট আ উইমেন।

আমার পার্সোনাল কানেকশন ছাড়া কোনো চরিত্র তৈরি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বলতে পারি, হয়তো আমার নিজের জীবনের কিছু প্রভাব রেহানার মধ্যে রয়েছে।

এটা আসলে আমার অডিয়েন্স ডিসাইড করবে, আমি আবারও আমার আগের কথায় ফিরে যাচ্ছি , আমার জীবনে আমি রেহানাকে ওভাবেই পোর্ট্রে করেছি। কীভাবে পোর্ট্রে করলে এটা অডিয়েন্সের কাছে ইমপেক্ট ক্রিয়েট করবে, ওই ক্যালকুলেশন আমি করিনি।

 

প্রশ্ন: ছবিতে রেহানার পোশাক, বিশেষ করে মাথায় সব সময় স্কার্ফ ব্যবহার, কেন?

সাদ: আমার আশপাশের অনেক উইমেনকে দেখেছি মাথায় স্কার্ফ পরতে। ছোটবেলায় দেখেছি, আজান দিলেই আপুদের মাথায় কাপড় দিতে। এসব খুব ছোট ছোট ডিটেইলস আমার জীবন থেকে নেওয়া।

 

প্রশ্ন: রেহানাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্য চরিত্রগুলো কি কম মনোযোগ পেল?

সাদ: সিঙ্গেল পয়েন্ট অব ভিউ, রেহানার চোখ থেকে বিশ্বটাকে দেখা। তো ওটা করতে গিয়ে আপনি যা বললেন তা হতে পারে। কিন্তু আমি ওই পয়েন্ট অব ভিউ থেকে যতটা এক্সপ্লোর করতে পেরেছি, করেছি। এই সফলতা আনতে গিয়ে আমি কোনো চরিত্র তৈরি করতে ব্যর্থ হতে পারি। আমি ট্রাই করেছি, রেহানার চোখ থেকে যত গভীরে দৃষ্টিটা ফেলা যায়।

 

প্রশ্ন: দেশের গণমাধ্যমের সঙ্গে এটাই আপনার প্রথম আলাপচারিতা। গণমাধ্যমকে এড়ালেন কেন?

সাদ: ছবিটা দেখার পর আলাপচারিতা অনেক ইন্টারেস্টিং হয়। ছবিটা দেখার আগে শুধু অনুভূতি নিয়ে কথা হয় বেশি। এটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ কি না, আমি জানি না। আমাকে দেখেই বুঝতে পারছেন, আমি এর মধ্যেই খুব অস্বস্তি বোধ করছি। তবে আবার এটাও মনে হয়েছে, আপনাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত।

এমনিতে আমি অ্যাটেনশন ড্রতে আগ্রহী নই। আমার কাছে মনে হয়, অ্যাটেনশন পাওয়া উচিত আমার ছবির। ছবিটা মনোযোগ পেলে তখন বেশি ভালো লাগে। আর একটা বিষয়, আমি ইনভিজিবল থাকতে চাই।

 

প্রশ্ন: আবারও জানতে চাইছি, ছবিটা কোন ভাবনা থেকে বানানো হয়েছে?

সাদ: আমি কোনো ইনটেনশন থেকে ছবিটা লিখিনি বা বানাইনি। আমি রেহানাকে ফলো করেছি। ওকে পুশ করতে গিয়ে বিভিন্ন সিচিউশনে প্লেস করতে গিয়ে মনে হয়েছে, ইন্টারেস্টিং কোয়েশ্চেনগুলো আমাদের অ্যাড্রেস করা উচিত। আমি আসলে ফাইনালি তাই করেছি। আমার কাছে মনে হয়, ফিল্মটা তখন সাকসেসফুল হয়, যদি এটা কাউকে কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করতে সাহায্য করে। আমার কাছে ফাইনালি, প্রশ্নগুলোই ছবির আউটকাম, উত্তরের চেয়ে। এই ছবিটা প্রশ্নতেই শেষ হয়।

 

প্রশ্ন: পুরো টিম নিয়ে আপনি কি সন্তুষ্ট ছিলেন?

সাদ: আমি খু্ব নির্ভর করি আমার টিমের ওপর। এরা সবাই মেধাবী। আমি এদের সঙ্গেই স্বস্তি বোধ করি।

 

প্রশ্ন: রেহানা চরিত্রে আজমেরী হক বাঁধনের নিবেদন নিয়ে কী বলবেন?

সাদ: ও চয়েস করেছে। সবকিছু বাদ দিয়ে ও এই প্রজেক্টটা করেছে। আমি আনন্দিত, ওর নিবেদন আর ত্যাগ একটা গন্তব্য পেয়েছে।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে অভিনেত্রী বাঁধনের সঙ্গে পরিচালক সাদ, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।

প্রশ্ন: ছবির ক্যামেরার কাজ। বিশেষ করে ‘নন স্টেডি মুভমেন্ট’ নিয়েও কথা উঠেছে। সাউন্ড নিয়েও আলাদা করে বলছে সবাই।

সাদ: দেখুন আমি চাই, খুবই ক্লোজরেঞ্জে ক্যাপচার করতে। আমার ছবির ল্যান্ডস্কেপ হচ্ছে যে, আমার সেন্ট্রাল ক্যারেক্টারের ফেইস। তাই ওর যেকোনো মুভমেন্ট, যেকোনো এক্সপ্রেশন ক্যাপচার করা আমার জন্য জরুরি। ও পারফর্ম করার সময় যা প্রজেক্ট করেছে, শুধু তা নয়, যা প্রজেক্ট করছে না, তা-ও আমার ফটোগ্রাফি চয়েস। আমার কম্পোজিশন নিয়ে খুবই অবসেশন আছে। ফ্রেমিং নিয়ে আমি খুবই প্রিসাইস। ডিওপি তুহিনকে অনেক সাফার করতে হয়েছে। অনেক কমপ্লেক্স ব্লকিং ছিল ছবিতে। 

এডিটিং স্টাইল নিয়ে যদি বলি, এটা ঠিক আমার এডিটিং একটু হার্শ। এটার কারণ হচ্ছে, আমি চাই না আমার ন্যারেটিভ অনেক সেন্টিমেন্টাল হোক। বা আমি অনেক এক্সপ্লেইন করতে চাই না। স্পেইস রাখতে চাই। এই অ্যাপ্রোচ থেকে এডিট করলে অবশ্যই হার্শ হবে। এটা হওয়ার আরেকটি কারণ, যেহেতু আমার লাইফই হার্শ। ওই বাস্তবতা ধরতে হলে, আপনি যে পরিবেশ তৈরি করছেন, তার প্রতিটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। ফটোগ্রাফি কেমন করে করছেন, এডিটিং কেমন করে করছেন, কীভাবে কালার করছেন? সবকিছু মিলিয়েই ফাইনালি ওই অনুভূতিটা। 

সাউন্ড আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি ডিরেক্ট করি, চোখ থেকে কান দিয়ে বেশি। আমরা ছবিটা করতে গিয়ে প্রচুর সাউন্ড ডিজাইন করেছি, যা শব্দ দিয়ে করা যায়. তা আমি শব্দ দিয়েই করতে চাই। ইমপোজ করতে চাই না। সাউন্ড ট্র্যাক আমার ছবিতে নেই। আমার মনে হয় সাউন্ড ট্র্যাক অডিয়েন্সের ফিলিংসকে গাইড করে। আমি এটা চাই না।

কথাপ্রকাশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!