• ঢাকা
  • শনিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫, ০৯:৫৮ এএম
হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের আবেদনকারীদের মধ্যে যাদের ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হৃদরোগ বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তাদের ভিসা আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) প্রকাশিত নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, এসব স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ‘পাবলিক চার্জ’ বা রাষ্ট্রের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা হয়ে উঠতে পারেন। তাই আবেদন যাচাইয়ের সময় এ বিষয়গুলো বিশেষভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কেএফএফ হেলথ নিউজ জানায়, নির্দেশনাটি ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা মূল্যায়নে মূলত সংক্রামক রোগ, টিকাদান, মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক সক্ষমতা বিবেচনায় নেওয়া হতো। তবে নতুন নীতিতে ডায়াবেটিস, স্থূলতা, ক্যানসার, শ্বাসযন্ত্র ও মেটাবলিক রোগসহ আরও কয়েকটি অসংক্রামক রোগ যুক্ত করা হয়েছে।

নির্দেশিকায় ভিসা কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, “আবেদনকারীর চিকিৎসা খরচ বহনের সামর্থ্য যাচাই করতে হবে। আজীবন চিকিৎসা ব্যয় বা দীর্ঘমেয়াদি সেবার জন্য সরকারি সহায়তার প্রয়োজন হবে কি না, তা বিবেচনা করতে হবে।”

এছাড়া আবেদনকারীর পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের দিকও মূল্যায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন— প্রবীণ অভিভাবক বা সন্তানদের দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা অক্ষমতা থাকলে, তা আবেদনকারীর কাজ বা আর্থিক সামর্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

অলাভজনক আইনি সহায়তা সংস্থা ক্যাথলিক লিগ্যাল ইমিগ্রেশন নেটওয়ার্কের সিনিয়র অ্যাটর্নি চার্লস হুইলার জানান, “যদিও নির্দেশনাটি সব ধরনের ভিসার জন্য প্রযোজ্য, বাস্তবে এটি স্থায়ী বসবাসের আবেদনকারীদের (গ্রিন কার্ড) ওপর বেশি প্রভাব ফেলবে।”

তিনি আরও বলেন, “ভিসা কর্মকর্তারা চিকিৎসক নন। চিকিৎসাজনিত বিষয় মূল্যায়নের ক্ষমতা তাঁদের ওপর ছেড়ে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এতে তাঁদের ব্যক্তিগত ধারণা বা পক্ষপাত ভিসা সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে।”

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিবাসন আইনজীবী সোফিয়া জেনোভেস মনে করেন, নতুন এই নীতিমালায় আবেদনকারীদের চিকিৎসা ইতিহাস, সম্ভাব্য চিকিৎসা ব্যয় ও যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার সক্ষমতা যাচাইয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে—যাতে যুক্তরাষ্ট্রে কেউ এসে রাষ্ট্রীয় সহায়তার ওপর নির্ভরশীল না হয়ে পড়ে।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!