• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

৬ লাখ মানুষ পাচার করে দাস ব্যবসার জন্য ক্ষমা চাইলো নেদারল্যান্ডস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৩, ০৩:৩১ পিএম
৬ লাখ মানুষ পাচার করে দাস ব্যবসার জন্য ক্ষমা চাইলো নেদারল্যান্ডস

১৭শ শতকের পরে নেদারল্যান্ডস একটি প্রধান ঔপনিবেশিক শক্তিতে পরিণত হয়ে সারা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করেছিল। এ সময় দেশটির দাস ব্যবসায়ীরা ৬ লাখেরও বেশি মানুষকে পাচার করেছিল। ঔপনিবেশিক আমলে দাস ব্যবসায় নেদারল্যান্ডসের ভূমিকার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ডাচ রাজা উইলেম আলেকজান্ডার। তিনি বলেছেন, দাসপ্রথা একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। তার দেশের মানুষের করা এ অপরাধের জন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। শনিবার (১ জুলাই) নেদারল্যান্ডসে দাসপ্রথা বিলোপের ১৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে রাজা আলেকজান্ডার এসব কথা বলেন।

নেদারল্যান্ডসের অধিবাসীদের ডাচ বলা হয়। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে দাসপ্রথা ও দাস ব্যবসায় নেদারল্যান্ডসের ভূমিকার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট।

আলেকজান্ডার বলেন, “আজকের এই দিনে আমি দাসপ্রথার ডাচ ইতিহাসের কথা স্মরণ করছি এবং মানবতাবিরোধী এই অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনাদের রাজা হিসেবে ও সরকারের একজন সদস্য হিসেবে আমি নিজেই অপরাধ স্বীকার করছি। আর আমি যে কথা বলছি, তা হৃদয় দিয়ে অনুভব করছি।”

সপ্তদশ শতকে ডাচরা ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কারাকাও এবং ওয়েস্ট পাপুয়াসহ বিশাল এলাকা দখল করে নেয় এবং আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর পাড়ের দাস ব্যবসায়ের মূল খেলোয়াড়ে পরিণত হয়। স্পেনীয় ও পর্তুগিজদের অনুসরণে তারা দাস ব্যবসা শুরু করে। এরপর প্রায় ২৫০ বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দাস ব্যবসা চালায় তারা।

ডাচ রিসার্চ কাউন্সিল জানায়, ১৭৩৪ থেকে ১৭৮০ সাল পর্যন্ত নেদারল্যান্ডের মোট জিডিপির ৪০ শতাংশ আসে দাস ব্যবসা থেকে। ১৮৬৩ সালে নেদারল্যান্ডস দাসপ্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করে। কিন্তু সুরিনামের মতো কিছু জায়গায় ডাচ দাসপ্রথা শেষ হয় আরও ১০ বছর পর।

ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর এশিয়ান স্টাডিজের ২০০৮ সালের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ডাচরা প্রধানত আরাকানের (বর্তমান রাখাইন রাজ্য) লোকদের দাস বানিয়ে তৎকালীন বাটাভিয়াতে পাঠাতো।

Link copied!