• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

চীনে বানর রপ্তানি করছে শ্রীলঙ্কা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৩, ০৭:২১ পিএম
চীনে বানর রপ্তানি করছে শ্রীলঙ্কা

চীনে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা বানর রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার কৃষি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ আমলা গুনাদাসা সামারাসিংহে দেশটির সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানী কলম্বোয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সামারাসিংহে জানান, চিড়িয়াখানায় পশু-পাখির যোগান দেওয়া এবং বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর প্রজনন বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি চীনা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে ১ লাখ টোক ম্যাকাক প্রজাতির বানর কেনার প্রস্তাব দিয়েছে এবং শ্রীলঙ্কার সরকারের তাতে সম্মতি আছে।

সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বাইরে, বিশেষ করে কৃষি অঞ্চলগুলোতে গত কয়েক বছর ধরেই বানরের উৎপাত শুরু হয়েছে। দেশের বেশ কিছু এলাকায় জমির ফসল ও ফলমূল বানরের কারণে ধ্বংস হচ্ছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি। এ কারণেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এই শীর্ষ আমলা আরও বলেন, “আমরা কেবল কৃষিপ্রধান বিভিন্ন থেকেই বানর সংগ্রহ করবো। সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলোতে হাত দেওয়া হবে না। আর প্রথম চালানেই ১ লাখ বানর পাঠানো হবে ব্যাপারটি এমন নয়। ধাপে ধাপে আমরা পাঠাব।”

যে বিশেষ প্রজাতির বানর চীন কিনতে চায়, সেটির নাম টোক ম্যাকাক। এটি শ্রীলঙ্কার স্থানীয় প্রজাতির বানর। শ্রীলঙ্কার বাইরে অন্যান্য দেশে এই প্রজাতির বানর খুবই বিরল। এ কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনভারসেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এই বানরটিকে বিপন্ন প্রানীর লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

তবে শ্রীলঙ্কায় প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কৃষি ফসল ধ্বংসের জন্যও দায়ী এই টোক ম্যাকাক। এমনকি মাঝে মাঝে মানুষকেও আক্রমণ করে এই বানর।

১৯৮৮ সালে বন্য প্রানী বিষয়ক আইন প্রণয়ন করে শ্রীলঙ্কা। সেই আইনে সব প্রকার বণ্যপ্রাণী হত্যা ও ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নতুন সংশোধনীতে শ্রীলঙ্কার স্থানীয় ৩ প্রজাতির বানর, ময়ুর ও বন্যশুয়োর হত্যার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। 

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!