সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আয়কর মূল্যায়ন ‘সেন্ট্রাল সার্কেল’-এর হাতে দেওয়ার বিরোধিতা করে যে আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্ট শুক্রবার তা খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা এবং বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এ বিষয়ে আয়কর বিভাগের নির্দেশই বহাল রেখেছেন দিল্লি হাইকোর্ট।
দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছেন, আইন মেনেই সমন্বয়ের সুবিধার কথা বিবেচনা করে মামলাগুলো হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়কর দপ্তর, তা বাতিল করা নিষ্প্রয়োজন।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাধারণ আয়কর মূল্যায়ন (ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট) পদ্ধতির বদলে আবেদনকারী সংস্থাগুলোর আয়কর সংক্রান্ত ফাইল সেন্ট্রাল সার্কলে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
সাধারণ মূল্যায়নের জায়গায় রাহুল, প্রিয়াঙ্কা, সোনিয়ার আয়কর মূল্যায়ন হবে সেন্ট্রাল সার্কেলে। অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীর সঙ্গে জড়িত এক মামলায় আয়কর বিভাগ গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যকে নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ করে এমন দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সোনিয়ারা।
একই ইস্যুতে সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, জওহর ভবন ট্রাস্ট, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, ইয়ং ইন্ডিয়ান ও আম আদমি পার্টিও একটি আবেদন করেছিল। সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
২০১৮-১৯ সালে গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যের আয়কর বিষয়ে মূল্যায়ন সাধারণ পর্যায়ের মূল্যায়ন থেকে সরিয়ে সেন্ট্রাল সার্কেলে করা হচ্ছে। এই সেন্ট্রাল সার্কেলে খতিয়ে দেখা হয়, যে কত কর ফাঁকি হয়েছে, বা আদৌ কর ফাঁকি হয়েছে কি না। আয়কর বিভাগের তদন্তকারী দল এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে।
গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যের দাবি তাদের সঙ্গে সঞ্জয় ভাণ্ডারী গোষ্ঠীর কোনো যোগাযোগ নেই।
আপনার মতামত লিখুন :