প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলেই সরকারের বাজেট কমানো ও সংস্কার পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছে আর্জেন্টাইনরা। রাজধানী বুয়েনস এইরেসে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে তারা।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আর বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভ দমাতে কয়েক শ নিরাপত্তাকর্মী কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ছুড়েছেন। ব্যবহার করা হয়েছে জলকামান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে কংগ্রেসে বিতর্ক চলার সময় বাইরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কংগ্রেস ভবনের বাইরে দুটি গাড়িতে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা বেড়া টপকে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ওপর পাথর ছুড়লে তারাও পেপার স্প্রে ছোড়েন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য, পেপার স্প্রের কারণে সাতজন বিক্ষোভকারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনই আইনপ্রণেতা। ঘটনাস্থলে আরও বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পরে রাতের বেলা ঢাল বহনকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মোটরসাইকেলে থাকা অন্যরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। এ সময় দুটি গাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের গাড়ি।
আর্জেন্টিনার নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এএফপিকে জানান, অন্তত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আহত হয়েছেন নয়জন পুলিশ সদস্য।
এক এক্স বার্তায় আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো লাঠি, পাথর, এমনকি গ্রেনেড নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন। তারা অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টায় আছেন।