• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

দ্বীপে আটকা পড়ে ৫০টির বেশির তিমির মৃত্যু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৩, ০১:৩৪ পিএম
দ্বীপে আটকা পড়ে ৫০টির বেশির তিমির মৃত্যু

স্কটল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমের একটি দ্বীপে আটকা পড়ে ৫০টির বেশি তিমির মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার দ্বীপটির উত্তর টোলস্টা এলাকায় সমুদ্রতীরে আটকা পড়ে তিমিগুলোর মৃত্যু হয়েছে বলে ব্রিটিশ ডাইভার্স মেরিন লাইফ রেসকিউর (বিডিএমএলআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। স্কটল্যান্ডের একটি দ্বীপে আটকা পড়ে ৫০টির বেশি তিমির মৃত্যু হয়েছে। তবে একটি তিমিকে পানিতে ফিরিয়ে দেওয়া গেছে।

বিডিএমএলআরের ওয়েলফেয়ার ডিরেক্টর ড্যান জার্ভিস জানান, অনেকগুলো তিমি মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মনে হচ্ছে তিমিগুলো রাতের বেলা আটকা তীরে আটকা পড়েছিল। রোববার সকালে দিকে ১৫টি তিমিকে জীবিত পাওয়া গেলেও ৫৫টির মৃত্যু হয়। তিমি যখন পানি থেকে স্থলে আসে তখন তার ওজনের ভার বহন করতে পারে না। আর তিমি সাধারণত ৬ ঘণ্টার বেশি স্থলে বেঁচে থাকতে পারে না।

জার্ভিস সিএনএনকে বলেছেন, আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই যে কেন এটি হতে পারে। তবে এই প্রজাতির তিমিগুলো একে অপরের সঙ্গে অত্যন্ত শক্তিশালী সামাজিক এবং মানসিক বন্ধনে আবদ্ধ। এদের মধ্যে একটি প্রাণী অসুবিধায় পড়লে এবং আটকা পড়লে দলের বাকিরা অথবা কমপক্ষে তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেই প্রাণীটিকে অনুসরণ করবে উদ্ধারের চেষ্টা করবে।

তিনি আরও বলেন, “এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গেও সম্পর্কিত হতে পারে। এমনকি তারা যেখানে বসবাস করত, সেখানে খাদ্যসংক্রান্ত কোনো কারণ থাকতে পারে।”

এদিকে স্কটিশ মেরিন অ্যানিম্যাল স্ট্র্যান্ডিং স্কিম (এসএমএএসএস) বলেছে, এক দশকের মধ্যে স্কটল্যান্ডে এক সঙ্গে এত তিমির মৃত্যু হলো।

স্কটল্যান্ডে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। পাইলট তিমি এই অঞ্চলে বেশি সংখ্যায় দেখা যায়। ১৯৮৮ সালে এই পাইলট তিমিদের বাঁচানোর জন্যই দ্য ব্রিটিশ ডাইভারস মেরিন লাইফ রেসকিউ চ্যারিটি সংস্থাটি তৈরি হয়েছিল।

Link copied!