• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘হামলার শিকার হলে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতাম’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ১০:২৩ এএম
‘হামলার শিকার হলে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতাম’

রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বহু শহরে একাধিকবার হামলা চালালেও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাসভবন এবং তার সদর দপ্তরে আক্রমণ করেনি। তবে হামলা হলে সঙ্গীদের নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতেন বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। এমনকি প্রস্তুতি হিসেবে সঙ্গে একটি পিস্তলও রাখেন তিনি।

রোববার (৩০ এপ্রিল) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, হামলা শিকার হলে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতেন বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। শনিবার এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, “আমি জানি কিভাবে গুলি চালাতে হয়। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রুশরা বন্দী করে নিয়ে গেছে? এটি খুবই অপমানজনক। আমি বিশ্বাস করি, এটি অসম্মানজনক হবে। আমি মনে করি রুশ সেনা বা গোয়েন্দারা যদি প্রশাসনের ভেতরে ঢুকে যেত, তাহলে আমরা এখানে থাকতাম না।”

তিনি আরও বলেন, “রাশিয়ার বাহিনী কাউকে বন্দি করতে পারত না কারণ আমরা ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটের প্রতিরক্ষা খুব গুরুত্ব সহকারে প্রস্তুত করেছি। আমরা শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতাম।”

ইউক্রেনীয় এই প্রেসিডেন্ট পিস্তল সঙ্গে রাখেন কিনা এবং সেটি ব্যবহার করার অনুশীলন করেছিলেন কিনা জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, তিনি সেটি করেছিলেন।

তবে শেষমেশ রাশিয়ার সেনাদের হাতে ধরার পড়ার পরিবর্তে আত্মহত্যার জন্য পিস্তলটি ব্যবহার করতে পারেন, এমন ধারণা খারিজ করে দেন তিনি। জেলেনস্কির ভাষায়, “না, না, না। এটা আমার নিজেকে গুলি করা নয়। অবশ্যই শত্রুদের দিকে পাল্টা গুলি করতে হবে।”

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। 

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, আক্রমণের পর প্রথম দিনগুলোতে রাশিয়ার গোয়েন্দা ইউনিটগুলো রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। এমনকি কিয়েভের কেন্দ্র বলে পরিচিত ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটে পৌঁছতেও ব্যর্থ হয় রাশিয়ানরা।

আর এই ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটেই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাসভবন অনুষ্ঠিত।

Link copied!