টানা ভারি বর্ষণ ও বাঁধ ধসের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় নাইজেরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৭ জনে। দেশটির জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র ইব্রাহিম হুসেইনি এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ১১৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। আরও অনেক নিখোঁজ রয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে তারা নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে গেছেন। উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার রাতে অতিভারী বৃষ্টির কারণে একটি বাঁধ হঠাৎ ধসে পড়লে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে নিমিষেই পানির নিচে তলিয়ে যায় নাইজার রাজ্যের মোকওয়া এলাকার একাধিক বসতিপল্লী। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, অপরিকল্পিত নগরায়ন, দুর্বল পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বন্যাপ্রবণ এলাকায় নির্মাণ কাজ, এসব মিলিয়েই বন্যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে, অর্থাৎ মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাইজেরিয়ায় বন্যা একটি সাধারণ ঘটনা। তবে বিগত কয়েক বছর ধরেই তা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
২০২২ সালেও দেশটিতে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্যা দেখা দিয়েছিল। সেসময় প্রাণ হারিয়েছিল ১ হাজার ২০০ জনের বেশি, আর ৩১টি রাজ্যের অন্তত ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন।