ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার হিসেবে মেজর জেনারেল আমির হাতেমিকে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ প্রধান ও ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। শুক্রবার (১৩ জুন) এক সরকারি ডিক্রির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
শনিবার (১৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
জানা গেছে, জেনারেল হাতেমি ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নিয়োগ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক আদেশে আয়াতুল্লাহ খামেনী জেনারেল হাতেমির ‘নিষ্ঠা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা’-কে ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন এবং তার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে ‘একটি রূপান্তরমূলক ও বিপ্লবী দৃষ্টিভঙ্গির’ আহ্বান জানান।
ডিক্রিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর বিশাল সক্ষমতা ও বিশ্বস্ত কর্মীদের সংখ্যা, প্রতিরক্ষা ও তার বাইরেও অর্জিত অভিজ্ঞতার কারণে, আশা করা যায় যে, আপনার নেতৃত্বে যুদ্ধ প্রস্তুতি বৃদ্ধি, আধ্যাত্মিক ও আদর্শিক ভিত্তি শক্তিশালীকরণ, কর্মীদের কল্যাণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য শাখার সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হবে।
এ ছাড়া আয়াতুল্লাহ খামেনী সদ্য পদত্যাগকারী প্রধান মেজর জেনারেল সাইয়্যেদ আব্দুর রহিম মুসাভির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তার সততা ও মূল্যবান প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেরি নিহতের পর আয়াতুল্লাহ খামেনী মেজর জেনারেল সাইয়্যেদ আব্দুর রহিম মুসাভিকে সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দেন।
এর আগে শুক্রবার ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলার পর এই ঘটনা ঘটল, যেখানে পারমাণবিক স্থাপনা, জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, এই হামলায় ৭৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন তিন শতাধিক।
ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান তেল আবিব এবং জেরুজালেমকে লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’ শুরু করেছে। ইসরায়েলের প্যারামেডিক সার্ভিস জানিয়েছে যে এই হামলায় কমপক্ষে ৩৪ জন আহত এবং একজন নিহত হয়েছে।