• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সূর্য অভিযানে যাচ্ছে ভারতের আদিত্য - এল১


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩, ১২:৩২ পিএম
সূর্য অভিযানে যাচ্ছে ভারতের আদিত্য - এল১
প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

সূর্য অভিযান চালাতে প্রথমবারের মতো মহাকাশযান পাঠাতে যাচ্ছে ভারত। স্থানীয় সময় শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মহাকাশযান আদিত্য - এল১ সূর্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে আদিত্য এল-১ এর যাত্রা শুরু হবে। এ নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় কাটছে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটির কর্মকর্তাদের।

আদিত্য - এল১ এর উৎক্ষেপণ বিভিন্ন মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আর সামনাসামনি এই উৎক্ষেপন দেখার সুযোগ পেয়েছেন পঞ্জাবের একটি সরকারি স্কুলের ২৩ শিক্ষার্থী। তারা ইতোমধ্যে সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছেছেন।

সূর্যের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে আদিত্য-এল-১ উপগ্রহটিকে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ১০ লাখ কিলোমিটার ভ্রমণ করে গন্তব্যে পৌঁছাবে মহাকাশযানটি। আর এতে সময় লাগবে প্রায় ১২০ দিন।

সূর্যের অপর নাম আদিত্য। সূর্যের নামে নামকরণ করা মহাকাশযানটিকে বহন করে নিয়ে যাবে ভারতীয় রকেট ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ (পিএসএলভি)। 

ইসরো জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের পর প্রায় ১৬ দিন পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরবে আদিত্য - এল১। এই সময় সূর্যের দিকে যাওয়ার জন্য পাঁচটি ধাপে গতিবেগ বাড়াবে আদিত্য। পরে প্রায় ১১০ দিন সূর্যের দিকে যাত্রা করে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে পৌঁছাবে। ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট হল মহাকাশের এমন একটি অঞ্চল যেখানে দুইটি মহাজাগতিক বস্তুর (এক্ষেত্রে সূর্য ও পৃথিবী) আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল থাকে। ফলে এই অঞ্চলে পৌঁছে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থির থাকতে পারে। এই অংশে পৌঁছে আদিত্য এল ১ সূর্য পর্যবেক্ষণ করবে।

আদিত্য - এল১ অভিযানের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে প্রায় ৩৭৮.৫৩ কোটি রুপি। এই অভিযান সফল হলে সৌরঝড়ের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হবে ইসরো। পাশাপাশি সূর্যের আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবও বুঝতে সাহায্য করবে এই মহাকাশযান। এই অভিযানের মাধ্যমে সূর্য সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Link copied!