পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান মুক্তির পর লাহোরের উদ্দেশে রওনা করার পর অভিযোগ করেন, পুলিশ তার বাড়ি ফেরা নিয়েও নাটক করেছে। ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক তাকে লাহোরে ফিরতে বাধা দেওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন। শনিবার ভোরে লাহোরে জামান পার্কের বাড়িতে ফিরেছেন তিনি।
শনিবার (১৩ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। বাইরে যাওয়াটা অত্যন্ত বিপজ্জনক উল্লেখ করে ইমরানকে তিন ঘণ্টা আদালত ভবনে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
পিটিআই প্রধান বলেন, “পুলিশের মহাপরিদর্শক আমাদের জোর করে আটকে রাখা এবং অপহরণ করার মতো যে কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, সে সম্পর্কে পাকিস্তানের মানুষকে জানানো হবে। এ কথা বলার পর আমরা সেখান থেকে মুক্তি পেলাম। অবশেষে রওনা করার পর আমরা দেখলাম, সড়কে কোনো ধরনের যানবাহন নেই। যে ধরনের বিপদের ভয় দেখানো হয়েছিল, সে রকম কোনো বিপদের অস্তিত্বই ছিল না।”
মঙ্গলবার (৯ মে) রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্ট চত্বর থেকে এর আগে আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহত এবং আরও ২৯০ জন আহত হয়েছেন।
তার গ্রেপ্তারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে পিটিআই। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানের গ্রেপ্তার ‘বেআইনি’ ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। গতকাল ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দুই সপ্তাহের জামিন পান তিনি। পরে ৯ মে পর্যন্ত করা কোনো মামলায় ইমরান খানকে ১৭ মে পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে আদেশ দেন আদালত।
ইমরানের আইনজীবীরা জামিন আবেদনের সঙ্গে চারটি অতিরিক্ত আবেদনও দাখিল করেছেন। এতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টকে ইমরানের বিরুদ্ধে সব মামলা একত্র করতে এবং তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলার বিবরণ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।




































