ভারতের হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও উত্তরাখণ্ড সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেক অঞ্চলে বন্যার প্রভাবে ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে।
এনডিটিভি জানায়, হিমাচল প্রদেশে একই পরিবারের আট সদস্যসহ অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার থেকে ভারী বর্ষণে রাজ্যে ভূমিধস ও বন্যা শুরু হয়য়।
এছাড়াও রাজ্যে আহত হয়েছে আরও ১০ জন। মান্ডিতে ছয়জন নিখোঁজ হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডেপুটি কমিশনার অরিন্দম চৌধুরীর বরাতে বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে উত্তরাখণ্ডে টানা বৃষ্টির মাঝে বন্যায় চারজনের মৃত্যু হয়য়। নিখোঁজ রয়েছেন ১০ জন। নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অনেক সড়ক ও সেতু ভেসে গেছে। বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ওড়িশায় বন্যার কবলে পড়েছে ৫০০টি গ্রাম। প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জনজীবন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। চারজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ময়ূরভঞ্জ, কেন্দ্রপাড়া এবং বালাসোর সহ বেশ কয়েকটি জেলায় উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার মহানদীতে প্রবল স্রোতে একটি নৌকা ভেসে গেলে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়।
প্রবল বৃষ্টিতে ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি জেলায় বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা।
রবিবার পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে ও সোমবার পূর্ব রাজস্থানেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।








































