• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থার মধ্যে সশস্ত্র হামলায় ১০ জন নিহত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১, ২০২৩, ১০:৩১ এএম
ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থার মধ্যে সশস্ত্র হামলায় ১০ জন নিহত

ইকুয়েডরে মাদক সহিংসতা বৃদ্ধির কারণে জরুরি অবস্থার অধীনে থাকা প্রধান বন্দর নগরী ও অর্থনৈতিক হাব গুয়াকিল শহরে সশস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং পাঁচ বছরের একটি শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছেন। দেশটির পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস এবং পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গুয়াকিল শহরে সশস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং এক শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

ইকুয়েডরের প্রসিকিউটর অফিস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে একটি রাইফেল এবং ৯-মিলিমিটার ক্যালিবার বন্দুক পাওয়া গেছে।

দেশটির ন্যাশনাল পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম ভিলারেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা ধারণা করছি আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাতে লিপ্ত অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াইয়ের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।

দেশটির ন্যাশনাল পুলিশ টুইটে জানিয়েছে, এই মুহূর্তে, আমাদের তদন্ত এবং গোয়েন্দা ইউনিটগুলো দায়ীদের চিহ্নিত করার জন্য অপারেশনাল পদক্ষেপ নিচ্ছে।

অবশ্য এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি মেকানিকের দোকানের সামনে এ গুলির ঘটনাটি ঘটেছে।

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে। এ সময় ফুটপাতে কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল।

ইকুয়েডরের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় টুইটারে জানিয়েছে, শনিবার রাতের সশস্ত্র হামলার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে।

এদিকে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইকুয়েডরে সশস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন।

দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মেক্সিকো হয়ে মাদকের যেসব চালান যুক্তরাষ্ট্রে যায়, সেগুলোর প্রধান রুট হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে ইকুয়েডর। বিপুল ঝুঁকি এবং একইসঙ্গে প্রচুর অর্থ থাকার কারণে ইকুয়েডরের বন্দর এলাকাগুলোতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের প্রভাব বাড়ছে। এসব অপরাধী গোষ্ঠী কোনো না কোনোভাবে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত।

রয়টার্স বলছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দর নগরী গুয়াকিলে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা রোধ করার লক্ষ্যে ইকুয়েডর সরকার গুয়াকিল এবং আশপাশের এলাকায় গত এপ্রিলের শুরুতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। এরপর থেকে এসব এলাকায় রাত ১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকছে।

Link copied!