আজকাল বেশিরভাগ শিশুই চোখের সমস্যায় ভোগে। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাব ও স্মার্টফোন আসক্তি এর অন্যতম কারণ। ট্যাব, কম্পিউটার অথবা মোবাইল নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেয় আপনার সন্তান। এতে করে তার দৃষ্টিশক্তির সমস্যা তৈরি হচ্ছে শিশুকাল থেকেই।
শিশুর দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ভিটামিন ‘এ’ জাতীয় খাবার খাওয়ান। ছোটবেলা থেকেই এ ধরনের খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া সরকারিভাবে প্রতি বছর শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ভিটামিন এ- এর অভাব জনিত কারণে শিশুর অন্ধত্ব হতে পারে। তাই আজই সচেতন হন শিশুর খাদ্যাভ্যাসে।
চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন খাবার শিশুর দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখবে-
- ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি। স্নেহ ও প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে ভিটামিন এ বেশি থাকে।
- দুধের সঙ্গে যষ্টিমধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন। চা চামচের এক চামচ বা অর্ধেক চামচ যষ্টিমধুর গুঁড়া গরুর দুধে মিশিয়ে দিনে দুইবার আপনার শিশুকে খাওয়ান।
- দৃষ্টিশক্তি সতেজ রাখতে দেশী সবুজ শাক খাওয়ান আপনার সন্তানকে। সবুজ শাককে চোখ সুরক্ষার প্রধান খাদ্য বলা হয়। সবুজ শাক আমাদের চোখকে ইউভি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। তাই খাওয়ার টেবিলে প্রতিদিন শাক রাখুন।
- চোখের জন্য খুব উপকারী ছোট মাছ। ওমেগা-৩ এ ভরপুর ছোটমাছ যেমন- টুনা মাছ বা পুঁটি মাছ শিশুর রেটিনাসহ নার্ভ সেলগুলোকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে।
- সারা বছরই পাওয়া যায় এমন দুইটি ফল হলো- কমলালেবু এবং মাল্টা। ভিটামিন-সিতে পরিপূর্ণ এই ফল দুইটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে অনেক। যা চোখের কর্নিয়াকে সুরক্ষা করে এবং চোখে ছানি পড়া থেকে বাঁচায়। শিশুকে নিয়মিত ফল খাওয়ান।
- ডিম চোখের জন্য উপকারী। ভিটামিন এ-এর প্রায় সব রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। আর ডিমে এর সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই কমবেশি থাকায় ডিমকেও ধরা যায় চোখের কার্যকারিতা বৃদ্ধির অন্যতম উপাদান হিসেবে।
- গাজরে থাকে বেটা-ক্যারোটিন। এটা ভিটামিন এ-এর একটি প্রধান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রেটিনাকে খুবই ভালো রাখে ফলে আমাদের চোখে ছানি পড়ার দুর্ভাবনা থাকে না। গবেষকরা বলেন, আমাদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত কয়েকবার গাজর খাওয়া উচিত।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া