ভ্যালেন্টাইনস ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ঠিক আগের দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে চুম্বন দিবস নামে পরিচিত। এই চুম্বন দিবস শুধুমাত্র প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য নয়। আপনি আপনার সন্তান, বাবা-মা, বন্ধু এমনকি পোষা প্রাণীর সঙ্গেও দিনটি উদযাপন করতে পারেন।
চুম্বনের মাধ্যমে কারো প্রতি গভীর আবেগ প্রকাশ করা হয়। আমাদের ঠোঁটের স্পর্শ কোন ব্যক্তি বা প্রাণীকে বুঝিয়ে দেয় তার সঙ্গে আমরা কতটা ঘনিষ্ঠ। তাই কারো কাছ থেকে একটি চুম্বন আপনার মন ভালো করে দেওয়ার পাশাপাশি তার কাছে আপনার গুরুত্ব উপলব্ধি করতেও সাহায্য করে।
চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে, চুম্বন মানবদেহে ডোপামিন আর অক্সিটক্সিনের মত ‘সুখী হরমোন’ নিঃসরণে সাহায্য করে। চুম্বনের অভিজ্ঞতা ঠোঁটের স্নায়ুর জন্যেও আনন্দদায়ক এবং আসক্তিপূর্ণ।
তাই চুম্বন দিবসে প্রিয়জনের গালে বা কপালে একটি চুম্বন দিয়ে উদযাপন করতে পারেন বিশেষ দিনটি। কিংবা আপনার প্রেমিকা বা প্রেমিকাকেও আবেগপূর্ণ চুম্বন দিয়ে প্রকাশ করতে পারেন আপনার ভালোবাসাকে। তবে সেই বিশেষ কাউকে চুম্বন করতে যাওয়ার আগে চলুন জেনে নিই এর পাঁচটি উপকারিতা:
চুম্বন মানসিক চাপ ও উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেয়
চুম্বনের সময় দেহে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমে যায়। এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, যার ফলে মানসিক চাপ কমে যায়। উদ্বেগ হ্রাসকারী প্রভাবক হিসেবে চুম্বন ও আলিঙ্গন মানুষের মনকেও শান্ত করে তোলে।
রক্তচাপ কমায়
চুম্বনের সময় আমাদের হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়। যা দেহের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে ও দ্রুত রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।
আনন্দের অনুভূতি দেয়
চুম্বনের কারণে মস্তিষ্কে যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে তা মানুষকে খুব সহজেই আনন্দিত করে করে তোলে। এই রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মূলত অক্সিটোসিন, ডোপামিন এবং সেরোটোনিন হরমোন নিঃসরিত হয়।
মাংসপেশীর ব্যাথা উপশম
চুম্বনের কারণে মানবদেহে পেশী প্রসারিত হয় এবং রক্ত প্রবাহ বাড়ে। এর মাধ্যমে মেয়েদের মাসিকের কারণে সৃষ্ট ক্র্যাম্প বা পেশির টান উপশম হতে পারে। এতে পুরুষদের ক্ষেত্রেও মাংসপেশীর ব্যাথা কমতে পারে।
অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে সাহায্য করে
অনেক বিশেষজ্ঞি মনে করেন, দৈহিক মিলন ও আবেগঘন চুম্বন মানবদেহে প্রতি মিনিটে ২ থেকে ২৬ ক্যালোরি খরচ করতে পারে। যা আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।