• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গ্লোকমা রোগের ঝুঁকিতে যারা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২১, ১২:৫০ পিএম
গ্লোকমা রোগের ঝুঁকিতে যারা

অনিরাময়যোগ্য অন্ধত্বের প্রধান কারণ চোখের গ্লোকমা রোগ। এটি যে কোনো বয়সেই হতে পারে। গ্লুকোমাজনিত অন্ধত্বের কোনো প্রতিকার নেই। প্রতিরোধ করাই এর একমাত্র উপায়। এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে অপরিবর্তনযোগ্য অন্ধত্বের শিকার হন অনেকে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ নির্ণয় করা গেলেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

গ্লোকমা চোখের একটি জটিল রোগ। এর ফলে চোখের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তিও  কমে যায়। একসময় রোগী অন্ধ হয়ে যায়।

গ্লোকমা রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রে চোখের অভ্যন্তরীণ উচ্চচাপ গ্লোকমার জন্য দায়ী। স্বাভাবিক চাপেও এ রোগ হতে পারে। এর সঙ্গে অন্য কারণও রয়েছে। অনেকের তো বংশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্লোকমা রোগের ঝুঁকি যাদের বেশি থাকে_

  • বয়স ৩৫ বা ৪০ বছরের উপরে হলে এই রোগ হতে পারে।
  • পরিবারে কারো গ্লোকমার ইতিহাস থাকলেও এই রোগ আপনার হতে পারে।
  • পূর্বে চোখে আঘাতের ইতিহাস রয়েছে এমন কারো এই রোগ হতে পারে।
  • দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ চোখে প্রয়োগ করলে বা মুখে সেবন করলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
  • দীর্ঘমেয়াদি চোখের জটিল প্রদাহে ভুগলেও গ্লোকমা হতে পারে।
  • চোখে টিউমার থাকলে গ্লোকমা হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়।
  • চোখে অতীতে কোনো অপারেশনের রেকর্ড রয়েছে তাদেরও গ্লোকমা হতে পারে।
  • যারা দীর্ঘদিন চোখে ছানি সমস্যায় ভুগছেন তাদেরও এই রোগ হওয়ার শঙ্কা বেশি।
  • যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে কিংবা বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদেরকেও সতর্ক থাকতে হবে।
  • অতিমাত্রায় প্লাস বা মাইনাস পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করেন যারা তারাও ঝুঁকিতে রয়েছেন।
  • চোখের চাপ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি থাকলে এই রোগ হতে পারে।
  • মাইগ্রেনের সমস্যা থেকেও চোখে চাপ পড়ে। সেক্ষেত্রেও গ্লোকমা হতে পারে।

 

সূত্র: হেলথ জোন

Link copied!