থাইল্যান্ডে চলছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স’-এর ৭৪তম আসর। সেখানেই বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এবারের প্রতিযোগিতায় ১২১টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। ভোটের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসে ইতিমধ্যেই আলোচনায় চলে এসেছেন বাংলাদেশের এই তারকা
মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘পিপলস চয়েজ’ বিভাগে ১ লাখ ৯২ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে মিথিলা ছিলেন তৃতীয় অবস্থানে।
তবে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের এই তারকা আরো এক ধাপ এগিয়ে যান। ভোরে দেখা যায়, তিনি উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে। বর্তমানে ভোটে তার অবস্থান সেই দ্বিতীয় স্থানেই, আর এই সাফল্যে দেশজুড়ে চলছে উচ্ছ্বাস।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৯টার মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে বলা হয় মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে প্রথম স্থানে যেতে বাংলাদেশের মিথিলার দরকার ৫০ হাজার ভোট।
জানা গেছে ভোট চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত, আর মিথিলার ভক্তরা নিরলসভাবে তাকে এগিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। শুধু ‘পিপলস চয়েজ’ নয়, মিথিলা এগিয়ে আছেন আরো কয়েকটি বিভাগে ‘বেস্ট ন্যাশনাল কস্টিউম’ (প্রথম), ‘মিস কনজেনিয়ালিটি’ (দ্বিতীয়), ‘বেস্ট ইভিনিং গাউন’ (দ্বিতীয়) ও ‘বেস্ট স্কিন’ (তৃতীয়) বিভাগেও।
বর্তমানে পাতায়ায় অবস্থান করছেন মিথিলা, ফুকেটের ইভেন্ট শেষ করে সেখানেই চলছে পরবর্তী রাউন্ডের প্রস্তুতি। সকালে মিথিলা তার ফেসবুক পেজে দ্বিতীয় স্থানে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিজেও।
তিনি পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেই সঙ্গে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে সংবাদমাধ্যমে মিথিলা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে যখন ভোটে তৃতীয় হওয়ার খবর পাই। প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। সারা শরীর কাঁপছিল, কান্না পেয়ে গিয়েছিল। আমার দেশের মানুষ যে এতটা সমর্থন দেবে, তা ভেবেই আবেগে আপ্লুত হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, প্রতিযোগিতার বিচার প্রক্রিয়ায় ভোটের পাশাপাশি বিচারকদের রায়ও গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি এখন পর্যন্ত সব ইভেন্টেই ভালো পারফরম্যান্স দিতে পেরেছি বলে মনে হচ্ছে। দেশের মানুষের ভালোবাসা ও ভোট আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।


































