ভারতীয় সেলিব্রিটিদের মধ্যে সালমান খান, শচীন টেন্ডুলকর, হৃত্বিক রোশন, বিরাট কোহলি, অনুশকা শর্মা, ক্যাটরিনা কাইফ, জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজ, সোনম কাপুরের পর এবার পোশাকের ব্র্যান্ডে নিজের নাম নিয়ে এলেন অক্ষয় কুমার।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের জুহুতে নিজের বাড়ির অফিসে বসে অক্ষয় কুমার ঘোষণা করলেন, “অ্যাথলেটিক, এসেনশিয়াল, ভার্সেটাইল, কম্ফোর্টেবল এবং অ্যাফোরডেবল ফ্যাশন ফর অল এর কনসেপ্ট নিয়ে প্রথমবার আমি আসছি আমার নতুন পোশাক ব্র্যান্ডিংয়ের জগতে। আপনাদের সবাইকে স্বাগত।”
গত পনেরো-কুড়ি বছর ধরে দেখা গিয়েছে সেলিব্রিটিরা তাদের নিজের ক্ষেত্রে যখন স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে যান, তাদের মধ্যে অনেকেই এই ফ্যাশনের লাভজনক জগতে পা রাখেন। কেউ কেউ চেইন রেস্টুরেন্ট বিজনেসেও নামেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেলিব্রিটিরা এবং রিয়েলিটি স্টারেরাও ফ্যাশনের ব্যবসায় নামছেন।

বলিউডের এভারগ্রিন সফল নায়ক সালমান খান তার ‘বিয়িং হিউম্যান’ চ্যারিটেবল সংস্থাকে পরবর্তীকালে ফ্যাশন ব্র্যান্ডে পরিণত করেছেন। প্রথমে হিন্দি ছবির সফল নায়ক হিসেবে নিজের ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট খুললেন সালমান। ‘বিয়িং হিউম্যান’ নামে সেই ট্রাস্টের কার্যকারিতার বিভিন্ন উদ্যোগ সংবাদমাধ্যমে যখন প্রচারিত হয়ে সেই নামটিকে নায়ক সালমানের ভাবমূর্তির মতো বিখ্যাত করে তুলল, তখন বিখ্যাত হয়ে যাওয়া নিজের সেই চ্যারিটেবল সংস্থার নামকেই সালমান নিজের পোশাক ব্যবসায় নিয়ে এলেন। ঠিক যেমনটি করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকর। ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জগতে নিজের নাম সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর শচীন পোশাকের একটি ব্র্যান্ড খুলেছিলেন ‘শচীনস’ নামে। মুম্বইয়ের কোলাবায় খুলেছিলেন রেস্তোরাঁ। শচীনের রেস্তোরাঁর ব্যবসা খুব বেশি দূর না এগোলেও পোশাকের ব্যবসায় তিনি এরপর ‘ট্রু -ব্লু’ নামে একটি নতুন ব্র্যান্ডের প্রচলন করেন, যেটি এখনো বর্তমান।

পেশাদার ফ্যাশন ডিজাইনাররা তো বটেই, গত পনেরো-কুড়ি বছরে দেখা গিয়েছে, অন্য ক্ষেত্রে নিজেদের খ্যাতির আলোকবর্তিকাকে সেলিব্রিটিরা অন্য ব্যবসায় প্রয়োগ করেছেন বা করছেন। যেমন খুব সাম্প্রতিক মুম্বাইয়ের জুহুতে কিশোরকুমারের বাংলোর একটি অংশ ভাড়া নিয়ে ক্রিকেটার বিরাট কোহলি লাউঞ্জ রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করেছেন। এ ছাড়া বিরাট এবং তার অভিনেত্রী স্ত্রী অনুশকা শর্মা পোশাকের ব্যবসায় নিজেদের ব্র্যান্ড ওপেন করেছেন। নিজেদের জীবনে জমা হওয়া আর্থিক মূলধনকে কেন্দ্র করে জীবনে অন্য ব্যবসার জগতেও সেলিব্রিটিদের এই পদার্পণ কাউকে সেই ফিল্ডেও ভাল সাফল্য দিয়েছে। কেউ বা গড়পড়তা সাফল্য পেয়েছেন।
সব মিলিয়ে সোজা কথায়, আগের ক্ষেত্র থেকে পাওয়া খ্যাতি ও অর্থকে মূলধন করে জীবনের অন্য ক্ষেত্রেও সেই অর্থ আগমনের রাস্তাকে প্রশস্ত করে বাড়তি লক্ষ্মী লাভে নিজেদের জীবনকে আর্থিকভাবে আরও মূল্যবান করে তোলা।