নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত ছবি ‘সাঁতাও’। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকাসহ দেশের ৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। গণ-অর্থায়নে রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন তরুণ নির্মাতা খন্দকার সুমন।
জানা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরের পাঁচটি হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘সাঁতাও’। এরমধ্যে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স দৈনিক চালাবে দুটি করে শো!
তিন শহরের পাঁচটি হলের মধ্যে রয়েছে ঢাকার বসুন্ধরা সিটিতে স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস, রংপুরের শাপলা সিনেমা হল, চট্টগ্রামের সুগন্ধা ও সিলভার স্ক্রিন।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা খন্দকার সুমন বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি অধিক প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কিন্তু কোনো সিনেমা হলের মালিকেরা ‘সাঁতাও’ নিতে রাজি হননি। তারা বলছে যদি সিনেমাটা দর্শকের চাহিদা হয় তাহলে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তারা তাদের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করবে।”
খন্দকার সুমন আরও বলেন, “‘সাঁতাও’ দর্শক ও সিনেমা সংশ্লিষ্টদের ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সবাই যেভাবে এসে আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, আমার মনে হচ্ছে তারা সবাই সিনেমাটির অভিভাবক।’’
ছবিটি মুক্তির জন্য সিনেমা হল পাওয়া যাচ্ছিল না। মুক্তির তারিখ (২৭ জানুয়ারি) চূড়ান্ত হলেও এটি চালাতে কোনো হল কর্তৃপক্ষ সায় দিচ্ছিল না। একপর্যায়ে চট্টগ্রামের সুগন্ধা সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ নির্মাতার সঙ্গে যোগাযোগ করে সিনেমাটি চালাতে আগ্রহ প্রকাশ করে। ধীরে ধীরে ঢাকার বসুন্ধরা সিটিতে স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস, রংপুরের শাপলা সিনেমা হল, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন কর্তৃপক্ষও এগিয়ে আসে।
রংপুর অঞ্চলের সুরেলা জনগোষ্ঠীর যাপিত জীবন ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘সাঁতাও’। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক ও আব্দুল্লাহ আল সেন্টু।
সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন, সাবেরা ইয়াসমিন, স্বাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফরিনা বুলবুল, রুবল লোদী, আলমগীর কবীর বাদল, রবি দেওয়ান, দীনবন্ধু পালসহ অনেকে।