• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পরীমনি-বুবলীর পাল্টাপাল্টিতে কাকে খোঁচা দিলেন অপু বিশ্বাস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
পরীমনি-বুবলীর পাল্টাপাল্টিতে কাকে খোঁচা দিলেন অপু বিশ্বাস
বুবলী, পরীমনি ও অপু বিশ্বাস।

দুই দিন চলছে চিত্রনায়িকা পরীমনি ও বুবলীর পাল্টাপাল্টি বাগ্‌যুদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সেই লড়াইয়ে এবার যোগ দিলেন অপু বিশ্বাসও। নীরবতা ভেঙে দিলেন স্ট্যাটাস। নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি ফেসবুকে লেখেন, “উফ কি সুন্দর ওয়েদার। বলার ভাষা নেই, আবেগ নেই, মিউজিক নেই, শুধু ছবিটাই আছে।”

এই স্ট্যাটাস বুঝতে বাকি নেই কারও। কেউ কেউ বলছেন, বুবলীকে খোঁচা দিলেন অপু! এ রকম বহু মন্তব্যই দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সঙ্গে অপুর পোস্টটি শেয়ার করছেন অনেকেই।

বুধবার (২০ মার্চ) ছিল শাকিব খান ও বুবলীর ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন। এ উপলক্ষে ছেলের উদ্দেশে একটি বার্তা ভিডিও আকারে পোস্ট করেন বুবলী। পাঁচ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, ছেলের ছোটবেলার ছবিসহ নানা স্মৃতিজড়িত ছবি সেখানে জুড়ে দেন। এই ভিডিওকে কেন্দ্র করেই দুই নায়িকার বাগ্‌যুদ্ধের শুরু।

বুবলীর ভিডিও দেখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পরীমনি। পরীর দাবি, রাজ্যর (পরীমনির ছেলে) জন্মদিনে তৈরি তার ভিডিও কপি করে ভিডিও তৈরি করেছেন বুবলী। গত বছরের ১০ আগস্ট ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে পরীও একটি খোলা চিঠি ভিডিও আকারে প্রকাশ করেন। সেই চিঠির সঙ্গে বুবলীর চিঠির ভাষার অনেকটা মিল রয়েছে। আর তাতেই কপি বা নকলের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পরী লেখেন, “আপা গো আপা! পুরাটাই কপি মারলেন! কথা, মিউজিক লাইন, ভয়েস টোন, ডেলিভারি থেকে সব! কিন্তু আবেগ তো কপি করা যায় না আপা!”

ওই কপির ব্যাখ্যা দিয়ে বুবলী লেখেন, “টলিউড বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে লাস্ট কয়েক বছর মিল থাকছে অধিকাংশ বিয়েতে, যেখানে বিয়ের ড্রেসের কালার, অ্যারেঞ্জমেন্ট, বর কনের আসা থেকে শুরু করে অনেক প্রেজেন্টেশনেই মিল থাকছে, পৃথিবীতে অনেক সিনেমা আছে যার গল্প অন্য গল্পের সঙ্গে মিলে যায়। কাছাকাছি মিলে, একদম মিলে, এমন বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে। তেমনি মা ও সন্তান নিয়ে পৃথিবীতে ইমোশনাল অনেক ভিডিও এবং অডিও আছে যার ভাষা একই কিন্তু এসবে পৃথিবীর কারো কোনো অসুবিধা নাই। শুধু এই সিন্ডিকেট চামচগুলোর অবস্থা দেখলে মনে হয় যে, এরাই দুই একজন শুধু মা হইসে, আর কেউ মা হয়নি, তাদের শুধু লেবার পেইন হয়েছিল আর কারো হয়নি। তারাই খাবার খাওয়ার পর প্রেসার আসলে ফ্রেশরুমে দৌড় দেবে কিন্তু আর কেউ যেতে পারবে না। তারাই লাল, নীল, হলুদ রং পরবে আর কেউ পরতে পারবে না। তারাই হাসবে, কাঁদবে, ঘুমাবে, আর কেউ পারবে না। যদি আপনি পারেন তাহলে, আপনার আবেগ নাই, বিবেকও নাই, শুধু কপি আছে।”

বুবলীর ব্যাখ্যা পছন্দ হয়নি পরীর। এমন ব্যাখ্যা পড়ে পাল্টা পোস্ট দেন পরী। সেই পোস্টে বুবলীকে ‘শিক্ষিত বকরি’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি! পরী লেখেন, “হিহিহি! একটি শিক্ষিত বকরির গরুর রচনা! কী লিখতে কী লিখতেছে বেচারি। চিপায় আটকাইলে মানুষ আবোল-তাবোল লজিক দিতে থাকে বুঝলাম। কিন্তু তাই বলে এই রকম আউলা-বাউলা কী কী সব লিখল ভাই! পরে কখনও নিজে পড়ে নিজেই বুঝবে না যে, কী লিখেছিলো। আমি শিউর।”

Link copied!