রাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম রাজ প্রযোজক-পরিচালক নয় এজন্য চলচ্চিত্র জগতের সবাই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম্যে রাজ সম্পর্কে লেখালেখি করেছেন।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে রাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম রাজকে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরই মধ্যে বনানী থানায় মামলা হয়েছে। চারদিনের রিমান্ডে আছেন রাজ।
শুরু থেকেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম রাজকে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করে যাচ্ছে। তবে রাজ এখনও কোনো চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেননি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সদস্যও নন রাজ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান ফেসবুকে লিখেছেন, “পরিচালক সমিতির সকল সদস্য সদস্যদের অনুরোধ করছি আপনারা আপনাদের যেকোন মাধ্যম থেকে নজরুল রাজ যে পরিচালক না, এটা সাধারণ মানুষ যাতে জানতে পারে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জানতে পারে ও মিডিয়ার সবাই অবগত হয় সেজন্য প্রচার চালিয়ে যান। এটা আমাদের জন্য অনেক বেশি দায়িত্বপূর্ণ কাজ তাই অবহেলা করবেন না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহানুর রহমান সোহান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “রাজকে চিত্রপরিচালক বলা হচ্ছে। অথচ তিনি কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেননি, তাই আমাদের সমিতির সদস্য নন। গণমাধ্যেম ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবারই তাকে এমন পরিচয় দেওয়ায় আমরা সবাই বিব্রত। আশা করি বিষয়টি প্রশাসন ও গণমাধ্যম শুধরে নেবে।”
অন্যদিকে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন ফেসবুকে লিখেছেন, “সকল টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, নজরুল রাজ প্রযোজক সমিতির সদস্য না বা কখনো ছিল না।”
সংবাদ প্রকাশকে খোকন বলেন, “আমরা জানি এক শ্রেণির মানুষ নিজেকে প্রযোজক-পরিচালক হিসেবে পরিচয় দেয়, সমাজ থেকে কিছু সুবিধা নেওয়ার জন্য। আমি মনে করি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমের উচিত এই মানুষগুলোর মুখোশ উন্মোচন করা। এরা আমাদের চলচ্চিত্রের শত্রু।”
চলচ্চিত্র পরিচালক বা প্রযোজক সমিতির সদস্য না হলেও, বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের সদস্য এই নজরুল রাজ। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠনটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চিত্রনায়ক ওমর সানির নেতৃত্বে একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই প্যানেলে তিনি ছিলেন এবং নির্বাচনে অংশ নেন। ফিল্ম ক্লাব এফডিসি কেন্দ্রিক কোনো সংগঠন নয়। তবে এর সঙ্গে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই যুক্ত রয়েছেন।  
 
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    




























