দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) ছয়টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল নির্মাতা রাশিদ পলাশ পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘পদ্মাপুরাণ’। পদ্মা নদীর অববাহিকায় থাকা মানুষগুলোর বর্তমান অবস্থা, তাদের মানসিকতা, আর্থিক অবস্থা এবং জীবনধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে সিনেমা ‘পদ্মাপুরাণ’। সিনেমার গল্প রাশিদ পলাশের। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে পুণ্য ফিল্মস।
নির্মাতা রাশিদ পলাশ বলেন, “কমসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পেলেও ‘পদ্মাপুরাণ’ প্রেক্ষাগৃহবিমুখ দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে আসতে আগ্রহ তৈরির করবে। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার বাংলাদেশের সিনেমায় অ্যানিমেশন টিজার ব্যবহৃত হয়েছে। আমরা নদীর পাড়ের মানুষের জীবন-যাপন বলতে চেষ্টা করেছি।”
নির্মাতা আরও বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি দর্শককে নতুন কিছু দিতে। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শক দেশের সিনেমা দেখবে, এটাই আমাদের চাওয়া। প্রেক্ষাগৃহ বাঁচাতে সবার উচিত পরিবার নিয়ে সিনেমাটি দেখা। ‘পদ্মাপুরাণ’ আমাদের মাটি জলের গল্প।”
একসময় পদ্মার যে ভরা যৌবন ছিল, সময়ের পরিক্রমায় এখন তা অনেকটাই বিলীন। সেই সঙ্গে হারিয়েছে তার রূপ ও রং। পাশাপাশি বদলে গেছে দুই পাড়ের মানুষের জীবনরীতিও। অথচ নদীমাতৃক এই দেশে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বড় নদীগুলোকে কেন্দ্র করেই চলত মানুষের জীবন। মূলত পদ্মাপারের মানুষের সেই জীবনচিত্র সেলুলয়েডে বুনেছেন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা রাশিদ পলাশ।
পদ্মাপুরাণে একজন মাদক ব্যবসায়ীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী চম্পা। অপর দিকে শিখণ্ডী সম্প্রদায়ের প্রধানের চরিত্রে রয়েছেন অভিনেত্রী শম্পা রেজা। তবে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে সাদিয়া মাহিকে। আরও অভিনয় করেছেন প্রসূন আজাদ, জয়রাজ, সুমিত সেনগুপ্ত, কায়েস চৌধুরী, সূচনা শিকদার, রেশমী, হেদায়েত নান্নু, আশরাফুল আশীষ, সাদিয়া তানজিন।