বোডিং গেট বন্ধের নির্দিষ্ট সময়ের ১৭ মিনিট পর বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বারবার অনুরোধ করেছিলেন তিনি তাকে যেন বিমানে উঠতে দেয়া হয়। তবে সেব সব অনুরোধে কান দেননি বিমানসংস্থার কর্তৃপক্ষ, তাকে সাফ জানিয়ে দেন এখন আর কোনোভাবেই নির্ধারিত বিমান ভ্রমণ করতে পারবেন না ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
জানা যায়, কোলকাতা বিমানবন্দর থেকে হায়দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার নির্দিষ্ট বিমানটির বোর্ডিংয়ের সময় ছিল ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে। কিন্তু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত পৌঁছেছেন ৫টা ১২ মিনিটে। এয়ারলাইন কর্মীদের কাছে ৪০ মিনিট ধরে কান্নাকাটি ও অনুনয় করেও বিমানে উঠতে ব্যর্থ হন এ টালিউড অভিনেত্রী। তাকে ছাড়াই আহমদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনায় দেয় এয়ার ইন্ডিগো। পরবর্তীতে দুটো বিমান বদলে তিনি হায়দ্রাবাদে পৌঁছান।
এই ঘটনা জানাজানি হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা।
সেই ঘটনার তিন দিন পর (৮ এপ্রিল) অবশেষে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কাছে ক্ষমা চাইল বিমান সংস্থাটি।
ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে ঋতুপর্ণার উদ্দেশ্যে টুইট করে লেখা হয়েছে, ‘আপনার অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। অনেকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু কোনো ভাবে সফল হইনি। আপনার সুবিধামতো একটা সময় বলুন, ‘আপনাকে আমরা যোগাযোগ করে কথা বলে নেব।’
যদিও ঋতুপর্ণার দাবি, তার কাছে কোনো ফোন আসেনি। বিমান সংস্থার ক্ষমা চাওয়ার পর ফিরতি টুইট করেন ঋতুপর্ণা। লেখেন, “ক্ষমা চাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু বিমান ছাড়ার ২৫ মিনিট হওয়ার আগেই বোর্ডিং গেট বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়। তাতে যাত্রীদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হয় সংস্থাকেও।”
তিনি আরো লিখেছেন, “বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে আমাকে আরও দুটি বিমান ধরে কাজে পৌঁছাতে হয়। তার মধ্যে একটি কাজে উপস্থিত থাকতে পারিনি আমি। আশা করি, এমন ঘটনা বারবার ঘটবে না। কেবল আমার জন্য নয়, সকল নাগরিকদের সুবিধার্থেই এই অনুরোধ করছি।”