ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষের ফাঁকা আসন পূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে মিছিল নিয়ে রাজধানীর নীলক্ষেতে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের হঠাৎ অবরোধের ফলে মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। যানজট নীলক্ষেত থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় ও আজিমপুরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। তবে ১০ মিনিট পরই পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, “এক দফা দাবিতে তাদের এই আন্দোলন। অবিলম্বে যেন সাত কলেজের ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়। তাদের অভিযোগ, সাত কলেজের মোট আসনের মধ্যে প্রায় তিন হাজার আসন ফাঁকা থাকার পরও ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “মনোনয়নের সময় উল্লেখ ছিল সাত কলেজের মোট আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ১৬০টি। কিন্তু সেখানে চূড়ান্ত মনোনয়নের পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জানানো হয়েছে সাত কলেজের মোট আসন সংখ্যা ২৩ হাজার ২৬২। অর্থাৎ তিন হাজার আসন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।”
এছাড়া ‘ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই আন্দোলনের সমন্বয়ক সাইফ নেওয়াজ চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দাবি জানিয়ে আসছি যেন সাত কলেজের তিন হাজার ফাঁকা আসন পূরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। তারা বারবার আশ্বাস দিলেও কার্যত সমাধানের ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের দাবি একটাই যেন অপেক্ষমাণদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়।”
এর আগে সকালে একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এ শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, “অবরোধের ফলে তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। এমনিতেই গরম ও রোদে মানুষ বিরক্ত। তার ওপর আবার যানজট। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি।”
তাছাড়া ভর্তির বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত, সড়ক অবরোধে কোনো বিষয় নয়। তবুও তারা দশ মিনিটের মতো এখানে অবস্থান করেছে বলেও জানান তিনি।
