গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার আশ্বাস দিলেও সেই কথা রাখেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান।
২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিনিধিদল নিয়ে উপস্থিত হন প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান।
তখন তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মামলা করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আমি তোমাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি বৃহস্পতিবারের মধ্যে মামলা হবে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি। যদি না হয়, তবে তোমরা আমার অফিস ঘেরাও করিয়ো। এখানে বন্ধ করে দিও। আবার আন্দোলনে বসে যেও।”
এরপর বুধবার (২ মার্চ) ৫টা ৩০ মিনিটে এক সংবাদ সম্মেলনে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব দাবি মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে মামলা করার কথা দিলেও এখনো কোনো মামলা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানের সঙ্গে ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করার পর তাকে ফোনে পাওয়া গেলেও এ ব্যাপারে তিনি নিজে কোনো বক্তব্য দেননি৷ তিনি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোরাদ হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। একটা মামলা করা হবে এটুকুই জানি।”
মামলার ব্যাপারে গোপালগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদের পক্ষ থেকে এখনো মামলা করতে কেউ আসেনি।”
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের নবীনবাগ এলাকায় বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া এক শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হয়। বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় উপাচার্য ড. এ কিউ এম মাহবুবসহ একাধিক শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।