শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, “এ বছর নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে যে বইগুলো গেছে তা পরীক্ষামূলকভাবে গেছে। তাই প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে যে বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে উঠেছে সেগুলোতে ভুল থাকতে পারে।”
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বাধীনতার চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘একুশ শতকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, “আমরা মাধ্যমিকের ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলক সংস্করণের বইগুলো দিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিব এবং সে অনুযায়ী বছরব্যাপী আমরা এগুলোকে পরিমার্জন ও পরিশীলন করব।”
‘আমরা একটা সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ণ করেছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন আমাদের সামনে ২০৩০ সালের যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যেটি আমাদেরও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। সেখানে ১৭টি লক্ষ্য রয়েছে, তার ৪ নম্বর লক্ষ্য শিক্ষা হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্রে।”
শিক্ষামন্ত্রী যোগ করেন, “সেই শিক্ষার যদি মান অর্জন করতে পারি এবং সেই শিক্ষা যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় তাহলে বাকি যে ১৬টি গোল বা লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।”
বঙ্গবন্ধু যেমন করতেন, তার কন্যাও তেমন করছেন জানিয়ে দীপু মনি বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ করবেন বলেছেন, আজকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের কথা তিনি বলেছেন। সেই উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রধানতম হাতিয়ার হলো শিক্ষা। সেজন্য আমাদের শিক্ষায় এই পরিবর্তনটা আনতে হবে।”
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের কারিগরি শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব ও সম্মান দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার পথে যে বাধা আমরা তা নিরসনে কাজ করছি।”
মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে কাজ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় বিষয়গুলো যেমন ভালোভাবে শিখবে তেমনি নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আধুনিক শিক্ষাও নিবে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা মূলধারার শিক্ষার্থীদের থেকে দু`শো নম্বর বেশিতে পরীক্ষা দেয়। নতুন শিক্ষাক্রমে তা সমানে নিয়ে আসা হবে।”
আপনার মতামত লিখুন :