শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, “সব ধরনের বাঁধা পেরিয়ে জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের মধ্যে বাইশ শতকের উপযোগী একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের আয়োজনে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্ল্যানারি সেশন-২ এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সেশনে ‘শিল্প-একাডেমিয়া সম্পর্ক: বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষিত’ বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
এম এ মান্নান বলেন, “আমরা এমন একটা ব্যবস্থা গড়তে চাই, যেখানে ছেলে-মেয়েরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের স্বাদ আস্বাদনের মাধ্যমে দেশের চরম দারিদ্রতা ওপশ্চাৎপদতা দূর করতে পারে।”
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, “গবেষণা বাজেট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে সরকার প্রতিবছর বেশি বেশি বাজেট বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছে। সরকার উচ্চশিক্ষার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী উচ্চশিক্ষার বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেন, শিক্ষামন্ত্রীও এ ব্যাপারে কঠোর পরিশ্রম করছেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শান্তা সাহা ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মো. সিয়ামুল বাশারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্যানেল এক্সপার্ট (শিল্প) হিসেবে আমেরিকার শেভরন বাংলাদেশের অপারেশন্স পরিচালক প্রকৌশলী রায়ান অট এবং প্যানেল এক্সপার্ট (একাডেমিক) হিসেবে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য দেন।
এছাড়া রিসোর্স পারসন ছিলেন শাবিপ্রবির অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজিজুল হক।
নতুন সহস্রাব্দে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির বিভিন্ন ফিল্ডের আধুনিক অগ্রগতি অনুসরণ ও একাডেমিয়া-শিল্প সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের প্রথমদিন ১৬টি প্যারালাল টেকনিক্যাল সেশনে ৮৫টি নিবন্ধ গবেষকরা উপস্থাপন করা হয়। মূলত ‘প্রকৌশল গবেষণা, উদ্ভাবন ও শিক্ষা’ বিষয়ে জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে বিশ্বের ১৪টি দেশের গবেষকদের অংশগ্রহণে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।