• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ মুহররম ১৪৪৬

দায়িত্ব পালনকালে জাবির সাংবাদিককে হেনস্তা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম
দায়িত্ব পালনকালে জাবির সাংবাদিককে হেনস্তা
ঘটনাস্থল। ছবি : প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পুনরায় অটোরিকশা চালুর দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় পালনকালে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অটোরিকশা চালুর দাবিতে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হেনস্তার স্বীকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও এনটিভি অনলাইনের জাবি প্রতিনিধি আকিব সুলতান। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা অটোরিকশার দাবিতে আন্দোলন করার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ৫৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার জন্য প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভিড় করেন। এ সময় কমনওয়েলথের এশিয়া সুশাসন ও শান্তিবিষয়ক প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে দেওয়ার জন্য এবং কমনওয়েলথের বিদেশি প্রতিনিধিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করা হলে ইতিহাস বিভাগ ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান রিমন এবং ৫১ ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী তানজির রহমান লিমন ভুক্তভোগী সাংবাদিকসহ আরও বেশ কয়েকজনকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তারা মবের সৃষ্টি করেন। পরবর্তী সময়ে রোকনুজ্জামান রিমন ভুক্তভোগী সাংবাদিককে পাশে ডেকে মারার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আকিব সুলতান বলেন, “বিক্ষোভকারীরা ভবনে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী-অভিভাবক, সাংবাদিক ও কমনওয়েলথের এশিয়া সুশাসন ও শান্তিবিষয়ক প্রধানকে আটকে বিক্ষোভ করেন। এসময় তাদের অনুরোধ করা হয় যাতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে দেওয়া হয় এবং একজন আন্তর্জাতিক অতিথিকে হেনস্তা না করে যেতে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। এসময় রোকনুজ্জামান রিমনের (ইতিহাস ৪৯ ব্যাচ) নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী আমাদের দিকে মব তৈরি করে তেড়ে আসেন। আমি ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে আভিযোগপত্র জমা দিয়েছি।”

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী রবিউল ইসলাম বলেন, “আমরা সাংবাদিকরা তাদের শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে দিতে এবং কমনওয়েলথের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করা হয়। এসময় আকিব ও সাংবাদিক সমিতির মামুন সামনে গিয়ে তাদের ছেড়ে দিতে বললে, তারা মব সৃষ্টি করে এবং তাদের মারতে উদ্যোক্ত হয়।” 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য না। সাংবাদিকরা সবসময়ই শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনের সচেষ্ট থাকেন। তাদের কাজে বাধা দেওয়া বা হেনস্তা করা কোনোভাবেই কাম্য না। সবাই আন্দোলনে সহাবস্থান বজায় রাখা উচিত।”

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!