বেরোবিতে সাবেক ভিসিপন্থীদের আবারও ভরাডুবি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৩ এর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫টির সব পদে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে নীলদল ও অধিকার সুরক্ষা পরিষদ সমর্থিত প্যানেল।

অপরদিকে সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর অনুসারী শিক্ষকরা হলুদ দল প্যানেল থেকে কোষাধ্যক্ষ, সাধারণ সম্পাদক ও ছয়জন কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেয় এবং সবাই বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন। সাবেক ভিসির অনিয়ম-দুর্নীতিতে সহযোগিতা করায় হলুদ দল প্যানেলের টানা দুইবার এমন ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষক নেতারা।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক ফলাফল ঘোষণা করেন।

সভাপতি পদে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ (১০৬ ভোট)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), কোষাধ্যক্ষ পদে একাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশানুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়)।

একই প্যানেল থেকে কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হারুন আল রশীদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আপেল মাহমুদ, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক রাকিবুল হাফিজ খান রাকিব, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শামসুজ্জামান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

বেরোবি শিক্ষক সমিতির মোট ভোটার ১৮৭ জন। এর মধ্যে নির্বাচনে  ভোটাধিকার প্রদান করেন ১৬৪ জন। যার মধ্যে তিনটি ভোট বাতিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।