এবারে এইচএসসির ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, প্রায় অর্ধেক পরীক্ষার্থীই ফেল করেছেন। এর কারণ অনুসন্ধান করছেন পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরাও। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার সব বোর্ডের ইংরেজি ও গণিত প্রশ্ন ছিল কঠিন। এর সঙ্গে উচ্চতর গণিত ও আইসিটি বিষয়ে কঠিন ধরাশায়ী হয়েছে।
সব বোর্ডের শিক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর বকশি বাজারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির। এ সময় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
এইচএসসিতে পাসের হার ৫৭ দশমিক ১২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৩ হাজার ২১৯ জন। আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬৮ জন। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৬২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬১০ জন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যশোরে ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বরিশালে ৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সিলেটে ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, দিনাজপুরে ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং কারিগরিতে পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে এ বছর বরাবরই এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। মোট পাস এবং জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন তারা। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ছাত্রের চেয়ে ৮৭ হাজার ৮১৪ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছাত্রের চেয়ে ৫ হাজার ৯৭ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন অংশ নেন। উত্তীর্ণ হন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ৩২ হাজার ৫৩ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়ছেন, আর ৩৭ হাজার ৪৪ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়ছেন।
ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়ছেন ২৬ হাজার ৬৩ জন, রাজশাহীতে ১০ হাজার ১৩৭ জন, কুমিল্লায় ২ হাজার ৭০৭ জন, যশোরে ৫ হাজার ৯৯৫ জন, চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৯৭ জন, বরিশালে ১ হাজার ৬৭৪ জন, সিলেটে ১ হাজার ৬০২ জন, দিনাজপুরে ৬ হাজার ২৬০ জন, ময়মনসিংহে ২ হাজার ৬৮৪ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৮ জন এবং কারিগরিতে ১ হাজার ৬১০ জনসহ মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন।