ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
এতে ২১৮ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ড. অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ১৪২ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোর্দ্দার নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে ৪০৪টি ভোটের মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ৩৫১ জন শিক্ষক। এতে ১টি ব্যালট সম্পূর্ণরূপে বাতিল হয়েছে। এছাড়া কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত নিয়ম ভঙ্গ হওয়ায় সভাপতির ভোট বাতিল হয়েছে ৪টি, সহ-সভাপতির ২টি, সাধারণ সম্পাদকের ৪টি, যুগ্ম-সম্পাদকের ১টি, কোষাধ্যক্ষের ১টি এবং সদস্যের ভোট বাতিল হয়েছে ১৪টি।
আওয়ামীপন্থী শিক্ষক প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ (১৭৩), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ (১৯৭), কোষাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল-মাসুদ (১৭০) নির্বাচিত হয়েছেন। সদস্য পদে অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন (১৫০), অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন (১৪৯), অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা (১৯৬), অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ (১৮৩), অধ্যাপক ড. মহব্বত হোসেন (১৮২), সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন(২০৭), এম এম নাসিমুজ্জামান (১৫২), সাজ্জাদুর রহমান টিটু (২০০), ফিরোজ আল-মামুন (১৫৯) ও সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম (১৬৬) নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে আওয়ামী, বিএনপি, জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের প্যানেল ‘গ্রিন ফোরাম’ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র এক প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামীপন্থী শিক্ষক প্যানেল নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করেছে।
শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “শিক্ষক সমিতির নির্বাচন একটি ঐতিহ্যবাহী নির্বাচন। এখানে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট যে কোনো ন্যায্য দাবি আদায়ে আমি কাজ করে যাব।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, “সকলের সহযোগিতায় সু্ষ্ঠুভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এতে কোনো অভিযোগ আসেনি।”