নোবিপ্রবির ১৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ১০ জনকে জরিমানা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের মোট ১৪জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে ৷ এছাড়া আরও ১০ শিক্ষর্থীকে জরিমানা এবং ১ জনকে সতর্কীকরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাকীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে, ১২ এপ্রিল ২০২৩ সালের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা ২০২৩/১ এ উক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আব্দুল মালেক উকিল হলের সামনে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মারামারির জন্য ৪ জন, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের জন্য ৬ জন, এছাড়াও অন্যান্য মারামারির জন্য আরও ৪ জনসহ মোট ১৪ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়, গত ২২শে মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বাকি একজনকে ১ বছর ৬ মাস এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বহিষ্কার শিক্ষার্থীরা হলেন বিবিএ বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাতুল ইসলাম মুবিন, ফার্মেসি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রূপক পাল, অ্যাপ্লাইড ম্যাথ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী শাহ নেওয়াজ, ফার্মেসি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আল আমিন ব্যাপারী।

এর আগে, গত ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী তৌফিক আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী নাঈম মোস্তফাকে ১ বছর, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তামিম ইবনে মাহবুবকে ৬ মাস এবং বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মেহেদী হাসান অর্পনকে ৬ মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মারামারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মৃন্ময় কৃষ্ণ সাহা সৌরভকে ১ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত বছরের ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাসনালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংগঠিত মারামারি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন সুমন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজ করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বদা সতর্ক। ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”