শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আর থাকছে না। এর বদলে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিশেষ বিসিএসের আদলে হবে শিক্ষক নিয়োগ। এর জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ উদ্যোগ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বিধিটি জারি হলে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সংশোধিত বিধিটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য আছে। সেখান থেকে এলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা জারি করবে। এই বিধি জারি হলে পিএসসির আদলে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন শিক্ষক নিবন্ধনে যেভাবে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়, সেভাবে আর হবে না। অনেকটা বিশেষ বিসিএসের মতো হবে।
দেখা গেল, ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কিছুটা এমসিকিউ, আবার কিছুটা লিখিত থাকছে। আর সবশেষে ভাইভা, যা প্রার্থীদের জন্যও সহজ হবে। যখন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে তখন থেকেই বয়স গণনা করা হবে।
এতে আর বয়সের বাধাও থাকবে না। আগামী ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের পরিবর্তে নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।’
বর্তমানে এনটিআরসিএর মাধ্যমে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়। এরপর গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করে। ফলে প্রার্থীদের দুবার আবেদন করতে হয়। এ ছাড়া নিবন্ধন সনদ অর্জন করতে অনেকের বয়স শেষ হয়ে যায়। পরে তাঁরা আর গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারেন না। এসব অসামঞ্জস্য দূর করতে এনটিআরসিএর শিক্ষক নিয়োগের বিধি সংশোধন করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সংশোধিত বিধিতে শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তির পরিবর্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করা হবে। এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের দিন থেকে প্রার্থীর বয়স হিসাব করা হবে। নতুন বিধিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের সংখ্যার দ্বিগুণ প্রার্থীকে ভাইভার জন্য ডাকা হবে। অর্থাৎ শূন্যপদের সংখ্যা ৫০ হাজার হলে ভাইভায় এক লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করবেন। যত পদ শূন্য থাকবে, মৌখিক পরীক্ষায় তার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে পাস করানো হবে, যাতে কেউ যোগদান না করলে অপেক্ষমাণ থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে নিয়োগের সুপারিশ করা যায়।