• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

রাবিতে বেহাল ইন্টারনেট সেবা


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২১, ০২:৪০ পিএম
রাবিতে বেহাল ইন্টারনেট সেবা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শুধু ইন্টারনেট সেবা খাতে প্রতি মাসে প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয় করে। অর্থাৎ এ খাতে বছরে প্রায় ৮৪ লাখ টাকা খরচ করতে হয় প্রশাসনকে। কিন্তু এত টাকা ব্যয়েও মানসম্মত সেবা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। জনবল সংকট, সুষ্ঠু তদারকির অভাব, সংযোগ ও দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেন্টারের তথ্যমতে, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড(বিটিসিএল) ও বাংলাদেশ রিসার্স অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের (বিডিরেন) মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সেবা নেওয়া হয়। ১৮৫৬ এমবিপিএস গতির এই ইন্টারনেট সেবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতি মাসে গুনতে হয় ৭ লাখ টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন, লাইব্রেরি ভবন, কেন্দ্রীয় মিলনায়তন, একাডেমিক ভবনসহ আবাসিক হলগুলোতে ওয়াইফাই ব্যবস্থার শোচনীয় অবস্থা। দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সির কারণে ক্যাম্পাসের সব জায়গায় ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায় না। বিশেষ করে হল ও একাডেমিক ভবনগুলোতে এই সমস্যা প্রকট।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ওয়াইফাই সুবিধা নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট তারা। ওয়াইফাই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হলগুলোতে নেই কোনো দক্ষ জনবল। যার ফলে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ ভাড়া করা ব্রডব্যান্ড লাইন অথবা মডেমের ওপর নির্ভরশীল। তারা বলছেন, আমাদের পড়াশোনা ও শিক্ষা সম্পর্কিত কার্যাবলি এখন অনেকটাই অনলাইনকেন্দ্রিক। ইন্টারনেটের এমন গতির কারণে সেটার কোনোটাই আমরা করতে পারছি না। দিনের বেশির ভাগ সময় এর গতি থাকে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১৫০ কেবিপিএস, যা দিয়ে ইউটিউব বা ফেসবুকের মতো অ্যাপসগুলোতেও প্রবেশ করা যায় না বলে অভিযোগ তাদের।

ইন্টারনেট ব্যবস্থার এই বেহাল দশা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. বাবুল ইসলাম বলেন, “আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করছি, যাতে শিক্ষার্থীরা গুণগত সেবাটা পায়। আবাসিক হলগুলোতে এই বিষয় দক্ষ কোনো জনশক্তি নেই। ইতোমধ্যে প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা উদ্যোগ নিলে আইসিটি সেন্টার থেকে সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। মূলত ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবং ইন্টারনেটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওয়াইফাইয়ের স্পিড কিছুটা কম।”

এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে তিনি বলেন, “ওয়াইফাই ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে না। ব্রাউজিং রুম অথবা ল্যান্ড কানেকশন সিস্টেমের মাধ্যমের এর স্থায়ী সমাধান করা যেতে পারে। যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি কক্ষে পৃথক পৃথক ল্যান্ড পয়েন্ট থাকবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারবে।”

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!