দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকা রেজিস্ট্রেশনের কাজ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু ও আবাসিক হল খুলতে পারবে।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা ও ক্লাসে পাঠদান শুরুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরআগে বেলা সাড়ে ১১টায় অনলাইনে বৈঠক শুরু হয়।
এ বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান।
গত ২৬ আগস্ট করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ধাপে ধাপে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
বলা হয়েছিল, আগামী ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা শুরু হবে। তখন ইউজিসি বলেছিল সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টিকাসংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শতভাগ টিকার আওতায় আসবে, সেগুলো আগে খুলবে।
১৭ মাস বন্ধ থাকার পর রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীর ক্লাস নেওয়া শুরু হয়। প্রথম দিকে শুধু চলতি বছর এবং আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে। বাকি শ্রেণিগুলোর ক্লাস সপ্তাহে এক দিন করে হবে। সোমবার খুলেছে মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল ও নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেড় বছর পর রোববার থেকে খুলে দেওয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।