চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ১০ টাকার জন্য ইয়ামিন হোসেন (১০) নামের এক শিশুকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। একই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (১৬) নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে ধারালো হাসুয়া দিয়ে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জাহিদ পলাতক রয়েছে।
নিহত ইয়ামিনের বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে এবং কানাইডাঙ্গা গ্রামের রাজ্জাকের নাতি। পাশাপাশি স্থানীয় বিত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিলেন ইয়ামিন। এছাড়া শিশুটি ছোট থেকেই কানাইডাঙ্গায় নানার বাড়ি থাকতো।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত ইয়ামিন ও তার বন্ধু গ্রামের পাশের একটি আমবাগানে খেলা করছিল। দুপুরে ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আসাদুল হকের ছেলে ও কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র জাহিদুল ইসলাম শিশুটিকে সিগারেট কিনতে ১০ টাকা দিয়ে দোকানে পাঠায়। এ সময় সে সিগারেট না কিনে ওই টাকা দিয়ে অন্য কিছু কিনে খেয়ে ফেলে। পরে জাহিদুল টাকা ফেরত চাইলে সে দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ একটি পরিত্যক্ত কবরস্থানের নিকট ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির বন্ধু বাড়িতে খরর দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে।
এ ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক ও কনক কুমার দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিষয়টি দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ নিশ্চিত করে বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে আসামি জাহিদকে ধরতে অভিযান চলছে।”