পাবনার ভাড়ারা ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় ইয়াছিন আলম নামের এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত হয়েছেন। এ মৃত্যুর ঘটনায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এ মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার রাতে নিহতের বাবা মোজাম্মেল খান মোজা পাবনা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী নিহতের ঘটনায় নিহতের বাবা মোজাম্মেল খান মোজা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনা তদন্তে কাজ করছে। এর আগে ঘটনার দিনই অস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ভাড়ারা ইউনিয়নের চারা বটতলার ইন্দারা মোড় কালুরপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাঈদ খান ও তার লোকজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সুলতান মাহমুদের লোকজনও বের হয়। এ সময় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদের চাচাতো ভাই আনারস প্রতীকের ইয়াছিন আলম জড়ো হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২৫ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলম মারা যান।