‘শেখ হাসিনার বারতা নারী পুরুষ সমতা’ স্লোগানে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২১ উদযাপিত হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় বিশিষ্ট নারীরা পেয়েছেন বেগম রোকেয়া পদক। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ফেনী
নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পাঁচ বিশিষ্ট নারী পেলেন বেগম রোকেয়া পদক-২০২১।
দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পাঁচ নারীকে এই পদক তুলে দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য হোসনে আরা কাউছার, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করার জন্য লায়লা আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য সুলতানা আক্তার, সফল জননীর জন্য হোসনে আরা চৌধুরী এবং অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনের জন্য শামীমা আফরোজা।
অনুষ্ঠানে মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসরীন আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বদরুল মোল্লা, সিভিল সার্জন রফিক-উস সালেহীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থা ফেনীর চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার খানম রুনা। ডে-কেয়ার অফিসার সুলতানা রাজিয়ার সঞ্চালনায় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মহিলা সংস্থার নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সরকার সমাজে নির্যাতিত ও অবহেলিত নারীদের অবদান অন্যদের সামনে তুলে ধরে সবাইকে উৎসাহিত করতে ‘জয়িতা অন্বেষন’ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আর সামাজিকভাবে অবহেলিত উদ্যমী নারীকে সমাজে এগিয়ে নিতে হবে এবং সবাই মিলে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
মাগুরা
বেগম রোকেয়া দিবসে জেলা পর্যায়ে চারজন জয়িতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জুলিয়া সুকায়না।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিয়দ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসিন কবীর। বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট শাহিনা আক্তার ডেইলি, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগাম অফিসার আনজুমান আরা মাহমুদা ও আরডিসির নির্বাহী পরিচালক লায়লা কানিজ বানু প্রমুখ।
এবার জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ৪ জন জয়িতা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী মহম্মপুর উপজেলার ববিতা রাণী বিশ্বাস, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী মাগুরা পৌরসভার আমিনা হামিদ, সফল জননী নারী সদর উপজেলার ড. মাজেদা খাতুন ও নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী শ্রীপুর উপজেলার মিতা বেগম। তাছাড়া সদর উপজেলা পর্যায়ে ৩টি ক্যাটাগেরিতে আমিনা হামিদ, লায়লা রেবেকা হক ও ফাতেমা খাতুনকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২১ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কক্ষে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ কার্যক্রমের আওতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন ও শিবগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় এই সংবর্ধনার আয়োজন করে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রহিমা রওনকের সভাপতিত্বে আয়োজিত জয়িতা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস।
বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। আর নারী বান্ধব প্রধানমন্ত্রীর কারণেই সমাজে নারীদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে তিনি নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে প্রতি বছরের মতো নারী জাতীর অগ্রদূত বেগম রোকেয়া দিবসে উপজেলার নারী উদ্দ্যোক্তাদের সম্মাননা বা সংবর্ধনা দিয়ে তাদের সম্মাননা দেওয়া হলো।
সাতক্ষীরা
“নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্ব গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরার আয়োজনে প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগাম অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা, সাতক্ষীরা মহিলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জোছনা আরা প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষার বিস্তার ও সমাজসেবায় নিজেকে সারাজীবন আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ছিলেন একজন মহিয়সী নারী। তার মত প্রতিবাদী নারী বর্তমান সময়ে খুবই প্রয়োজন। বক্তারা এ সময় নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের জন্য সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানানো হয়।