সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার ৩ আসামির আপিল মামলা নামঞ্জুর করে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
রোববার (৯ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
জানা যায়, শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা একটি মামলায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরার তালা-কলারোয়া আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন আসামির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত কলারোয়া উপজেলার সনজু ও মাহফুজুর রহমান বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল আপিল এবং একই উপজেলার আসামি কনক ক্রিমিনাল আপিল মামলা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। মামলা দুটি চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার (৯ জানুয়ারি) বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান আপিল মামলা দু’টি নামঞ্জুর করে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখার আদেশ দেন।
ক্রিমিনাল আপিল মামলার অপর আসামি মাহফুজুর রহমান সাজা চলাকালীন জেলখানায় মারা যান।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল লতিফ ও আসামি পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন মিজানুর রহমান পিন্টু।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখে মাগুরা ফিরে যাওয়ার পথে কলারোয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলা শিকার হন। এতে শেখ হাসিনা অক্ষত থাকলেও তার সফরসঙ্গী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, শহিদুল হক জীবন, আবদুল মতিনসহ অনেকেই আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিন ২৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ মামলা থানায় রেকর্ড না হওয়ায় তিনি নালিশী আদালত সাতক্ষীরায় মামলাটি করেন। পরে এ মামলা খারিজ হয়ে গেলে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর ফের মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।