মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে তোলা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সিনহা হত্যার রায় ঘোষণার জন্য় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে আসামিদের তোলা হয়। ইতোমধ্যে মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে। ৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ছেন বিচারক। আলোচিত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর এই রায় ঘোষণা হচ্ছে।
মামলার প্রধান আসামি হলেন টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ (পরিদর্শক) লিয়াকত আলী। আর টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ হচ্ছেন মামলার দুই নম্বর আসামি। মামলার তিন নম্বর আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত।
অন্য আসামিরা হলেন কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, উপপরিদর্শক (এসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।
এদিকে রায়কে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তুলেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সকাল থেকে আদালত এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আদালতসংলগ্ন এলাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, সিনহা হত্যার রায়কে কেন্দ্র করে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় ওই বছর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালতে সেই মামলার রায় দেওয়া হচ্ছে।