বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, তিনবারের সাংসদ, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারীর মরদেহ ফেনী শহরের মাস্টার পাড়াস্থ মুজিব উদ্যানে দাফন করা হবে।
মঙ্গলাবার (২৮ ডিসেম্বর) পরিবার সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। পরিবারের সদস্যরা জানান, মুজিব উদ্যানে নিজের মরদেহ দাফনের জন্য বর্ষীয়ান এই নেতা মৃত্যুর আগে এক বক্তব্যে ফেনীবাসী ও তার স্বজনদের প্রতি অনুরোধ করেছিলেন।
সেই অনুযায়ী আলোচিত এই রাজনীতিবিদের শেষ সমাধির স্থান নির্ধারণ করেন নিজাম উদ্দিন হাজারী ও জয়নাল হাজারীর বড় ভাইয়ের ছেলে সাবেক কাউন্সিলর টিটু হাজারীসহ আত্মীয়-স্বজনরা।
এই সময় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফেজ আহম্মদ, দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজাম হাজারী জানান, জানাজা মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ফেনী সরকারি পাইলট স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায় জয়নাল হাজারীর নিজ বাসভবন শৈলী কুটিরের সামনে মুজিব উদ্যানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নাল হাজারী শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এর আগে ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জয়নাল হাজারী। এছাড়া ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন আলোচিত এই নেতা।
এরপর ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ১৬ আগস্ট রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। তখন তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। পরে ২০০৪ সালে হাজারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অন্যদিকে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তার বিরুদ্ধে করা একে একে সব মামলা থেকে অব্যাহতি পান প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ।